ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
1281
তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
4429
ওয়াতানে আসলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
107
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাড়ি কক্সবাজার। পড়ালেখার উদ্দেশ্যে আপনি ঢাকায় থাকেন। আপনি যখনই বাড়ীতে আসবেন, সাথে সাথেই মুকিম হয়ে যাবেন। আপনি যদি টাকা থেকে সফর করে নিজ বাড়ী কক্সবাজারে না যেয়ে বরং চট্টগ্রামে আপুর বাসায় যান, এবং ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৭৭ কিলোর অধিক হয়, তাহলে আপনি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। আপনাকে কসর নামায পড়তে হবে।
(২) মুসাফির কসর নামায পড়বে। ৪ রাকাতি নামাযের অর্ধেক নামায পড়বে। তিন রাকাতি ফরয নামায বা দু রাকাতি ফরয নামাযে কোনো কসর নাই
(৩)মুসাফিরের জন্য সময়সুযোগ থাকলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়াও উত্তম ও উচিৎ। তবে সময় সুযোগ না থাকলে পড়তে হবে না।
(৪)মুসাফির নিজ ইচ্ছামত নফল সালাত আদায় করতে পারবে।
(৫)নারীদেরকেও কসর সালাত আদায় করতে হবে।