বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এসাইন্টমেন্ট যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত থাকে,তা ছাত্রদের মেধা যাচাই ইত্যাদির জন্য নির্ধারণ করা হয়,বিষয়টা যখন এমন তাই উক্ত এসাইন্টমেন্টকে ছাত্ররা নিজেরাই করবে।
অন্যকোথাও থেকে তা লেখিয়ে আনা যাবে না।কোথাও থেকে কপি করা যাবে না।
সুতরাং যদি কেউ গোগল থেকে কপি করে নেয় তাহলে তা ধোকা হবে।এবং কারো নিকট থেকে লাখিয়ে আনাও যাবে না।চায় টাকার বিনিময়ে হোক বা এমনিতেই হোক।উক্ত পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তির জন্য তা লিখে দেওয়া কখনো বৈধ হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
তরজমাঃসৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা মায়েদা-২)
সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানকে নেকীর কাজে সাহায্য- সহযোগিতা করা হবে।অন্যায়-ধোকা তথা গোনাহের কোনো কাজে কাউকে সহযোগিতা করা যাবে না।
তবে যদি এমন না হয়,তথা বিষয়টা উন্মোক্ত থাকে,তাহলে আপনি গোগল থেকে আংশিক বা সম্পূর্ণ কপি করে নিতে পারবেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
যেহেতু এ এসাইনমেন্টের উপরে মার্ক রয়েছে,তাই কর্তৃপক্ষ কপি না করতে বললেও সাধারণত বুঝা যায় যে,কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হল,নিজে নিজে লিখা।যাতেকরে প্রত্যেকের মেধা যাচাই হয়ে যায়,তাই আপনি গোগল থেকে কপি করতে পারবেন না।আপনার জন্য জায়েয হবে না।
স্যার-মেডামরাও কপি করে থাকেন ক্লাস শীট দেয়ার সময়।এটা তাদের জন্য জায়েয হবে,কেননা তাদেরকে তো আর মেধা যাচাই করা হচ্ছে না।ছাত্রদেরকে যেহেতু মেধা যাচাই করা হচ্ছে,তাই তাদের জন্য কোথাও থেকে কপি করা জায়েয হবে না।