আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু।

১। আজকে বিকালে টিউশনি করতে গিয়েছিলাম সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করি এবং এশার পর কুরআন তেলাওয়াত করে বাসায় আসি, বাসায় এসে দেখি যে মজি বের হয়েছে এখন কখন মজি বের হয়েছে সেটা বুঝতে পারি নাই এখন আমি যে নামাজ পড়েছি এবং কুরআন পড়েছি এই অবস্থা এখন কি আমার গুনাহ হবে??

২।৷ আমি মাঝখানে ভেবেসিলাম হয়ত মজি বের হ'য়ে ছে পরে গুরুত্ব দেই নি ভাবসি শয়তানের ওয়াসওয়াসা হয়ত এখন কি এর কারণে আমার ঈমানের কোন ক্ষতি হবে???

৩। এখন কি আমার পুনরায় নামাজ পড়তে হবে কি?? পড়লে কোন ওয়াক্ত পড়তে হবে?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

নামাজের জন্য অন্যতম শর্ত হলো শরীর পাক হওয়া,কাপড় পাক হওয়া।
নাপাক শরীরে,বা নাপাক কাপড়ে নামাজ হবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا قُمۡتُمۡ اِلَی الصَّلٰوۃِ فَاغۡسِلُوۡا وُجُوۡہَکُمۡ وَ اَیۡدِیَکُمۡ اِلَی الۡمَرَافِقِ وَ امۡسَحُوۡا بِرُءُوۡسِکُمۡ وَ اَرۡجُلَکُمۡ اِلَی الۡکَعۡبَیۡنِ ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ جُنُبًا فَاطَّہَّرُوۡا ؕ وَ اِنۡ کُنۡتُمۡ مَّرۡضٰۤی اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ اَوۡ جَآءَ اَحَدٌ مِّنۡکُمۡ مِّنَ الۡغَآئِطِ اَوۡ لٰمَسۡتُمُ النِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُوۡا مَآءً فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡہِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡہُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَہِّرَکُمۡ وَ لِیُتِمَّ نِعۡمَتَہٗ عَلَیۡکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۶﴾ 

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন তোমরা তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাতগুলো কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং তোমাদের মাথায় মাসেহ কর এবং পায়ের টাখনু পর্যন্ত ধুয়ে নাও এবং যদি তোমরা অপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হবে। আর যদি তোমরা অসুস্থ হও বা সফরে থাক বা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে, বা তোমরা স্ত্রীর সাথে সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে। সুতরাং তা দ্বারা মুখমণ্ডলে ও হাতে মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা করতে চান না; বরং তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান এবং তোমাদের প্রতি তার নেয়ামত সম্পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।
(সুরা মায়েদা ০৬)

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন

وثيابك فطهر

কাপড় পবিত্র রাখো,,,
(সুরা আল মুদ্দাচ্ছির ০৪)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
একটি মূলনীতি হলো,
الأصل في كل حادث تقديره بأقرب زمن .
সারমর্মঃ 
প্রত্যেক বের হওয়া বস্তুর ক্ষেত্রে যদি ওয়াক্ত নির্ণয় সম্ভব না হয়,তাহলে সেটি নিকটতম ওয়াক্তের সাথে সম্পৃক্ত হবে।

ومعنى القاعدة : أنه إذا حدث أمر ما ، وأمكن أن يكون وقته قريباً أو بعيداً ، وليس هناك ما يرجح أيا من الاحتمالين ؛ فوقته المعتبر هو أقرب الوقتين لحدوثه ؛ لأن هذا الوقت هو الذي تيقنا أنه حدث فيه ، والآخر مشكوك فيه .

এই কায়েদার অর্থ হলোঃ
যদি কোনো জিনিস বের হয়,এবং সম্ভাবনা রয়েছে যে এর বের হওয়ার ওয়াক্ত নিকটেও হতে পারে,দূরেও হতে পারে,এবং সেখানে কোনো একটিকে প্রাধান্য দেয়ার মতো কোনো দলিল ইত্যাদি  না পাওয়া যায়,তাহলে নিকটতম ওয়াক্তই উদ্দেশ্য হবে।

ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ 

لو رأت المرأة الحيض ، ولم تعلم زمن نزوله ، هل كان قبل الغروب أو كان بعده ؟ ففي هذه الحال يحمل وقت نزول الدم على أقرب الوقتين ، وأقرب الوقتين في مسألتك : أن الدم نزل بعد الغروب .
সারমর্মঃ
কোনো মহিলা যদি হায়েজ দেখে,সেটি বের হওয়ার সময় না জানে,যে এটি কি সূর্য ডুবে যাওয়ার পর এসেছে না কি তার আগে?
তাহলে নিকটতম ওয়াক্তের সাথে বিষয়টি সম্পৃক্ত হবে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার প্রবল ধারণা কি? আসলে এটা কোন সময়ে বের হয়েছে?

আপনি নিজের প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন। 

যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হয়,সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ঈশার নামাজ পুনরায় আদায় করবেন। এবং মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ঈমানের ক্ষতি হয়নি।

(০৩)
আপনি নিজের প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন। 
যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে এটা মাগরিবের আগেই বের হয়েছে, সেক্ষেত্রে মাগরিব ইশা উভয় নামাজ পুনরায় আদায় করবেন।

যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে এটা ইশার আগে বের হয়েছে, সেক্ষেত্রে শুধু ইশার নামাজ পুনরায় আদায় করবেন।

যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে এটা ইশার পরে বের হয়েছে, সেক্ষেত্রে কোনো নামাজই  পুনরায় আদায় করতে হবেনা।

★আর যদি কোনোদিকেই প্রবল ধারণা না হয়,সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র ইশার নামাজ পুনরায় আদায় করবেন। এবং মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...