জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★শরীয়তে ধোকামুলক কোনো চুক্তি বৈধ নয়।
সহীহ পদ্ধিত হল, গরুর মালিক লালন-পালনকারীর সাথে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করবে। সেক্ষেত্রে গরু থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় আয় গরুর মালিক পাবে আর লালন-পালনকারী খাবারের খরচ ও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৯৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩৮)
কেউ গরু ছাগল বর্গা দিতে চাইলে তার জায়েয পদ্ধতি হল, প্রথমে গরু বা ছাগলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন একটি গরুর মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। অতপর অর্ধেক গরু অর্ধেক দামে তথা বিশ হাজার টাকায় বর্গা গ্রহণকারীর নিকট বিক্রি করবে এবং বাকি অর্ধেক মূল্য সে অপারগ হলে ক্ষমা করে দিবে অথবা পরবর্তীতে তার সুবিধা মত সময়ে পরিশোধ করার সুযোগ দিবে। এরপর বর্গা গ্রহণকারী গরু বা ছাগল লালন-পালন করতে থাকবে। লালন-পালন শেষে তারা উভয়ে গরু ছাগল, দুধ ও বিক্রি পরবর্তি লভ্যাংশতে অর্ধাঅর্ধি মালিক হবে। আর লালন-পালনের খরচ উভয়ে সমান ভাবে বহন করবে। আর এ পদ্ধতিই উত্তম।
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত চুক্তি বৈধ নয়।
এক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত জায়েজ পদ্ধতি অবলম্বন করলে জায়েজ হবে।
(০২)
এমন গোসলখানায় অযু করলে অযু হবে।
এক্ষেত্রে ফ্লোরে পেশাব বা অন্য কোনো নাপাকি থাকলে অযু করার আগে ভালোভাবে পানি ঢেলে দিয়ে নাপাকি দূর করতে হবে,তারপর সেখানে অযু করতে হবে।
গোসল খানা পাক করার নিয়ম এটাই।
(০৩)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে বালতি নাপাক হয়।
এমতাবস্থায় সেই বালতিতে প্রত্যেকবার নতুন পানি নিয়ে কাপড়টি তিন বার ধুলে, কাপড় বালতি সবই পাক হয়ে যাবে।
এমনটি না করা হলে সেক্ষেত্রে সেই বালতিকে পাক পানি দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া হলেই বালতি পাক হয়ে যাবে।
(০৪)
এভাবে সেই কাপড় বারবার পরিধান আর ধোয়া হলে সেক্ষেত্রে ৩ বার হয়ে গেলে কাপড় পাক হয়ে যাবে।