বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এ যাবৎকাল আপনি অনেক কষ্ট করে নামায ইবাদত করেছন।আল্লাহ আপনার ইবাদতকে কবুল করুক।আমীন।
আপনি এক কাজ করবেন।
একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবেন যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।যদি আপনি সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।এভাবে যে,যখনই মনে সাদাস্রাব নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন আপনি টিস্যু বা কাপড় ইত্যাদিকে দেখবেন যে,সত্যিই কি সাদাস্রাব নির্গত হচ্ছে।যদি নির্গত হয়,তাহলে আপনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবেন।
(২)
জ্বী,আপনি টিস্যু ইত্যাদি রেখে নামায পড়বেন।যখন মনে সন্দেহ হবে যে,সাদাস্রাব নির্গত হয়েছে,তখন অজু করে আবার নামায পড়ে নেবেন।
কলেজ ভার্সিটির সময়ে নামায পড়তে যে ঝামেলার কথা আপনি বলেছেন,সেই ঝামেলার কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না যদি আপনি মা'যুরের হুকুমে চলে আসেন।
সে জন্য আপনি নামাযের সবচেঁয়ে সংকুচিত ওয়াক্তে পরীক্ষা করে দেখে নিবেন যে নামায পড়তে পারছেন কি না?যদি না পারেন,তাহলে তো আপনি মা'যুরের হুকুমে চলে আসবেন।আপনার প্রতি ওয়াক্তে তখন একটি অজুই যথেষ্ট হবে।
আর যদি আপনি মা'যুরের হুকুমে না আসেন,তাহলে অফিস বা ভার্সিটি টাইমে শুধুমাত্র ফরয নামায গুলো পড়ে নিবেন।এবং অন্যান্য সুন্নতগুলো অবসর সময় তথা রাত্রে কা'যা করে নেবেন।
মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-