আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
176 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (32 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।উস্তায, আমি বেশ কিছুদিন যাবৎ কিছু  সমস্যায় ভুগছি।
১.আমার সাদাস্রাবের সমস্যা আছে।কিছুদিন অনেক বেশি থাকে কিছুদিন কম।  আমি মাজুর  না বলেই আমার হয়।কিন্তু নামাজ উঠাবসা করার সময় একটু হলেও হয়ই,খুব কম সময়ই এমন হয় যে হয় নি।এজন্য একজনের পরামর্শে আমি টিস্যু ইউজ করে নামাজ আদায় করছি অনেক দিন যাবৎ।এটাতে কি কোন প্রব্লেম আছে বা আমার নামাজ কি হচ্ছে?
২.ইদানিং যে সমস্যা হচ্ছে,নামাজের আগে ফ্রেশ হয়ে আসার পর কিছুক্ষণ পরেই পানি চলে আসছে বলে অনুভূত হচ্ছে।অথচ প্রস্রাবের কোন চাপ নেই ।কোন গন্ধও নেই ।নামাজ এক/দুই রাকাত পড়ার পরই এমন লাগে।উঠাবসার জন্য না,কারণ বসে নামাজ পড়েও দেখেছি।বেশিরভাগ  সময় সত্যিই হয় আবার কোন সময় এমনিতে ওয়াসওয়াসা হয়। বাইরে টাচ করলে বুঝা যায় না,কেননা একবারে বাইরে আসে না,ভিতর থেকে অনুভব হয়।তাই জন্য ভিতরে হাত দিয়ে চেক করতে হয়।এভাবে এক ফরজ নামাজই দুই/তিন বার পড়তে হয়।যদিও তিন বার পড়া হয় তারপরও পানি আসেই।আবার কোন কোন সময় পড়তে পারি।পুরো ওয়াক্তেই এমন হয়।বাকি অনেকসময় যে পড়তে পারি সেটা কখন পারব তা তো জানা নাই যেকোন সময়েই হতে পারে।এঅবস্থায় যদি টিস্যু ইউজ করে কি নামাজ পড়া যাবে?।উল্লেখ্য যে,যখন ভার্সিটি খোলা থাকে তখন তো কয়েকবার ওযু করে সালাতের টাইম পাওয়া যায় না।তখন কি করব?বারবার এমন ওযু নষ্ট হওয়ার ফলে সালাতে মনোযোগ দিতে পারি না।আর  যদি কয়েকবার ওযু করে শুধু  ফরজটা তাড়াতাড়ি  পড়া যায় কোনরকম অন্য যে ওয়াজিব,সুন্নাতে মুয়াক্কাদা গুলো আছে সেগুলো কি করব?
জাযাকুমুল্লাহ খইরান

1 Answer

0 votes
by (707,840 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এ যাবৎকাল আপনি অনেক কষ্ট করে নামায ইবাদত করেছন।আল্লাহ আপনার ইবাদতকে কবুল করুক।আমীন।

আপনি এক কাজ করবেন।
একটু কষ্টকরে নামাযের সবচেঁয়ে সংক্ষিপ্ত ওয়াক্ত আছর কিংবা ফজরের ওয়াক্তে একদিন পরীক্ষা করবেন যে,এই সংক্ষিপ্ত ওয়াক্তে আপনি ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতীত কি ফরয দু'রাকাত বা চার রা'কাত নামায পড়তে পারছেন।যদি আপনি সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতীত ফরয আদায় করতে না পারেন,তাহলে আপনাকে মা'যুর হিসেবে গণ্য করা হবে।আর যদি আপনি নামায পড়ে নিতে সক্ষম হয়ে যান,তাহলে আপনাকে মা'যুর গণ্য করা হবে না। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে নামায পড়তে হবে।এভাবে যে,যখনই মনে সাদাস্রাব নির্গত হওয়ার সন্দেহ জাগবে,তখন আপনি টিস্যু বা কাপড় ইত্যাদিকে দেখবেন যে,সত্যিই কি সাদাস্রাব নির্গত হচ্ছে।যদি নির্গত হয়,তাহলে আপনি অজু করে এসে আবার নামায পড়ে নিবেন।

(২)
জ্বী,আপনি টিস্যু ইত্যাদি রেখে নামায পড়বেন।যখন মনে সন্দেহ হবে যে,সাদাস্রাব নির্গত হয়েছে,তখন অজু করে আবার নামায পড়ে নেবেন।

কলেজ ভার্সিটির সময়ে নামায পড়তে যে ঝামেলার কথা আপনি বলেছেন,সেই ঝামেলার কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না যদি আপনি মা'যুরের হুকুমে চলে আসেন।

সে জন্য আপনি নামাযের সবচেঁয়ে সংকুচিত ওয়াক্তে পরীক্ষা করে দেখে নিবেন যে নামায পড়তে পারছেন কি না?যদি না পারেন,তাহলে তো আপনি মা'যুরের হুকুমে চলে আসবেন।আপনার প্রতি ওয়াক্তে তখন একটি অজুই যথেষ্ট হবে।

আর যদি আপনি মা'যুরের হুকুমে না আসেন,তাহলে অফিস বা ভার্সিটি টাইমে শুধুমাত্র ফরয নামায গুলো পড়ে নিবেন।এবং অন্যান্য সুন্নতগুলো অবসর সময় তথা রাত্রে কা'যা করে নেবেন।

মা'যুরের বিধান সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 73 views
...