وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نهى عَن الدُّبَّاء والحنتم والمرفت وَالنَّقِيرِ وَأَمَرَ أَنْ يُنْبَذَ فِي أَسْقِيَةِ الْأَدَمِ. رَوَاهُ مُسلم
’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কদুর খোলস, সবুজ মটকা, আলকাতরা লাগানো পাত্র এবং খেজুর বৃক্ষের মূলের পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন এবং চামড়ার মশকে নবীয প্রস্তুত করতে আদেশ করেছেন।
মুসলিম (১৯৯৬)-৪৪, নাসায়ী ৫৬৩৭, আবূ দাঊদ ৩৬৯০, মুসান্নাফ ইবনু আবূ শায়বাহ্ ২৩৭৮১, মুসনাদে আহমাদ ৫৪৯৪, দারিমী ২১১২, আল মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭৩১, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৫২৮০।
ব্যাখ্যাঃ (دُبَّاءِ) দুববা লাউয়ের শুকনা খোলস দ্বারা তৈরি পাত্র।
(حَنْتَمِ) (হানতাম) মটকা জাতীয় সবুজ বর্ণের পাত্র বিশেষ।
(مُزَفَّتِ) (মুযাফফাত) এমন ধরনের পাত্র যা ভিতরে কিংবা বাইরে আলকাতরা লেপিয়ে দেয়া হয়।
(نَقِيرِ) (নাক্বীর) খেজুর গাছের মূলের দ্বারা নির্মিত পাত্র।
মূলত এগুলো তৎকালীন ‘আরবরা মদ তৈরির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করত। ইসলামে মদ হারাম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্ত পাত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কারণ পাত্রগুলোতে নবীয প্রস্তুত করলে তা খুব তাড়াতাড়ি নেশায় বা মদে পরিণত হত।
প্রশ্নে উল্লেখিত গ্লাস যদি ভাল করে পরিস্কার করা হয়, এতে মদের কোন চিহ্নও বাকি না থাকে তাহলে তার ব্যবহার জায়েজ হবে। কোন সমস্যা নেই।