আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম, মুহতারাম!
 

সমস্যা ১: ২০২০/২০২১ সালে রমজান মাসে আমি নফসের ধোঁকায় পরে রোজা অবস্থায় হস্তমৈথুন করে ফেলি। হস্তমৈথুন করার পরে রোজা ভেঙে গিয়েছেই এখন পানি খেলে কি হবে ভেবে  বাথরুমে থেকেই এক ঢক পানি খেয়ে ফেলি।
তখন সম্পূর্ণ নফসের কন্ট্রোলে ছিলাম।
সাথে সাথে গোসল শেষ করে যোহরের সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে কেঁদে ক্ষমা প্রার্থনা করি। এবং ইফতার পর্যন্ত পানাহার ত্যাগ করি‌। 

(১) এখন আমি কি ১ টা রোজা রাখলে আদায় হয়ে যাবে? ৬০ জনকে খাবার দেওয়া বা ৬০ দিন টানা রোজা রাখার সামর্থ এবং পরিবেশ কোনটিই নেই। 

সমস্যা ২: ২০২৩ সালে আমার মাথায় স্ক্রিন প্রবলেমের জন্যে ডাক্তার দেখানোর কথা হচ্ছিল।আমি রাজি হচ্ছিলাম না‌। কেননা ডাক্তারের ফি ছিল ১৫০০ টাকা।আমি আব্বুর এত টাকা খরচ করতে আগ্ৰহী ছিলাম না।আমি বলছিলাম অন্য ডাক্তার দেখাতে। এমতাবস্থায় আমি বোধহয় রাজি হয়েছিলাম ডাক্তার দেখাতে। কিন্তু একদিন আম্মু আমার পিছনে টাকা ব্যায়ের খোঁটা দিলে আমি বিষয়ে করে হলে আমি বলি,"আল্লাহর কসম আমি ঐ ডাক্তার দেখাবো না।"
কিন্তু পরবর্তীতে সময় হলে পারিবারিক জোড়াজুড়ির কারণে আমি ঐ ডাক্তার দেখাতে বাধ্য হই।যার ফলে আমার কসম ভঙ্গ হয়ে যায়।আমি এর জন্যে তওবা করেছি এবং এখন কসম করি না  দৈনন্দিন জীবনকেন্দ্রীয় বিষয়ে।
 

(২) এখন আমার করণীয় কি? 

উল্লেখ্য: আমার বর্তমান বয়স ১৯ বছর। একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।নিজের কোন ইনকাম নেই। জমানো টাকা রয়েছে ৪০০০ হাজারের মতো।আর পূর্বের ফ্রিল্যাসিং করে আয় করা  ৪১ হাজার মতো টাকা পরিবারের ঋণ হিসেবে দিয়েছি।কবে পাবো ঠিক নাই। আনুমানিক ১-২ বছর পরে পেতে পারি।বাসা থেকে ১০০০ টাকা মাসিক দেয় সেটা যাতায়াত ভাড়া এবং হাত খরচ বাবদ। সেখান থেকে অল্প কিছু জমে। সমস্যা ১ এর জন্যে ৬০ দিন টানা রোজা রাখা আমার পক্ষে সম্ভব না এবং ৬০ জনকে খাবার খাওয়ানোর সামর্থ্য নেই তা তো উপরোক্ত বক্তব্য থেকে পরিষ্কার। সমস্যা ১ এর জন্যে পরিবার থেকেও টাকা নেয়া সম্ভব না। একমাত্র ভবিষ্যতে আমার উপার্জনের ক্ষমতা হলে আদায় করতে পারব। তবে এর পূর্বে আমার মৃত্যু হলে কিভাবে কি হবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।

অনুগ্রহ করে জবাব দিবেন।জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ: هَلَكْتُ، قَالَ: «وَمَا أَهْلَكَكَ؟» قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَعْتِقْ رَقَبَةً» قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: «صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ» قَالَ: لَا أُطِيقُ، قَالَ: «أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا»

অনুবাদ- হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূল সাঃ জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাকে কে ধ্বংস করেছে? সাহাবী বললেন, রমজানে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। রাসূল সাঃ তাকে বললেন, তাহলে এর বদলে একটি গোলাম আযাদ কর। সাহাবী বললেন, আমি এতে সক্ষম নই। নবীজী সাঃ বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখ। সাহাবী বললেন, আমি এতেও সক্ষম নই। তখন রাসূল সাঃ বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াও। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৬৭১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৬৯৪৪, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-১১০৭, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৯৪৯, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৫২৭}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো যদি রোযাদার হস্তমৈথুনের কারনে বীর্যপাত করে,তাহলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

এক্ষেত্রে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
কাফফারা আদায় করতে হবেনা।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনাকে শুধু একটি রোযা কাজা হিসেবে আদায় করতে হবে। কাফফারা আদায় করতে হবেনা। 

(০২)
এক্ষেত্রে আপনার উপর কসম ভঙ্গের কাফফারা প্রদান করা আবশ্যক। 

কসম ভঙ্গের কাফফারা হলোঃ-
কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্ত্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০ জনের প্রত্যেকজনকে একটি সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।


আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (1 point)

  • আমার অবস্থা উল্লেখ করেছি সেই বিবেচনায় সমস্যা দুইয়ের জন্য টানা তিন দিন রোজা রাখতে চাচ্ছি। আদায় হবে কিনা?
by (682,440 points)
যেহেতু আপনার কাছে ৪০০০ হাজারের মতো  টাকা আছে,সুতরাং আপনাকে ১০ জন মিসকিনের প্রত্যেকজনকে একটি সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা দিতে হবে।

১১৫×১০=১১৫০ টাকার মতো আসে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...