আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (21 points)
اسّلام عليكم و رحمة الله

১/ প্যাকেটজাত খাবারগুলোতে অনেক ধরনের উপকরণ থাকে। অনেক সময় হারাম উপকরণ আবার অনেক সময় সন্দেহযুক্ত উপকরণ থাকে। এক্ষেত্রে আমি সাধারণত উপকরণ চেক করে বা হালাল ট্যাগ দেখে কিনে থাকি। কিন্তু অনেক সময় আত্মীয়রা অনেক খাবার নিয়ে আসে যেগুলার মধ্যে অনেক সময় উপকরণ উল্লেখ করা থাকে না। এক্ষেত্রে অনলাইনেও যদি এর উপকরণ না পাই তাহলে এই খাবার কী করবো? খাব নাকি ফেলে দিব?

২/অনেক সময় কোন খাবারের ২/১টা উপকরণ  হালাল নাকি হারাম তা জানা যায় না। এইসকল খাবার কী করবো?

৩/সৌদি বা কুয়েত ইত্যাদি ইসলামিক দেশ থেকে যদি কোনো খাবার আনা হয় যেমন চকলেট ইত্যাদি এবং এর উপকরণ খুঁজে পাওয়া না যায় তাহলে সেই খাবার কী করবো?

৪/আমার বোনের প্রচুর ওয়াসওয়াসার সমস্যা আছে যার কারণে প্রায়ই জিজ্ঞেস করে এটা ওটা ধরেছি কি না , হাত ধুয়েছি কি না ইত্যাদি। অনেক সময় প্রচুর রেগে যায় এবং তার সহ সকলের অনেক কষ্ট হয়। এর কারণে আমি যদি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কথা বলি তাহলে কী আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যেই খাবার গুলোর উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে যে, এগুলো হালাল জিনিষ থেকে তৈরী , সেগুলো নিঃসন্দেহে খাওয়া যেতে পারে। তবে যেগুলো সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে না, সেগুলো যদি কোনো মুসলিম কম্পানি বা মুসলিম দেশের তৈরী থাকে, তাহলে সেগুলো খেতে পারবেন। তবে অমুসলিম কম্পানি বা অমুসলিম দেশের তৈরী হলে, সেগুলোকে পরিত্যাগ করাই উত্তম হবে। হ্যা, যতক্ষণ পর্যন্ত হারাম হওয়া সম্পর্কে পূর্ণ ইয়াকিন বিশ্বাস হবে না, কতক্ষণ পর্যন্ত ভক্ষণ করা যাবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)প্যাকেটজাত খাবারগুলোর হালাল হারাম সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা না থাকলে, সেগুলো ভক্ষণ করা জায়েয হলেও ভক্ষণ না করাই উত্তম।

(২) যেই সব খাবারের উপকরণ হালাল না হারাম? সে সম্পর্কে জানা না থাকলে, সেগুলো পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। 

(৩)সৌদি বা কুয়েত ইত্যাদি ইসলামিক দেশ থেকে যদি কোনো খাবার আনা হয়, যেমন চকলেট ইত্যাদি এবং এর উপকরণ খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলেও সেই খাবার গুলো ভক্ষণ করা যাবে।

(৪) বোনকে বুঝানোর স্বার্থে আপনি কথা বলতে পারবেন। তবে সতর্ক থাকবেন যাতে কোনো মিথ্যা কথা বলা না হয়ে যায়।

جو ڈیری ملک چاکلیٹ پاکستان میں بنائی جاتی ہو یا کسی اسلامی ملک مثلاً:ملائیشیا وغیرہ سے درآمد کی جاتی ہو ایسی ڈیری ملک بلاتردد کھاسکتے ہیں۔
اور جو ڈیری ملک چاکلیٹ کسی غیر مسلم ملک میں بنی ہو اور اسے وہاں سے درآمد کیا گیا ہو اس کے استعمال میں احتیاط بہتر ہے، البتہ جب تک کسی چیز میں حرام اجزاء شامل ہونے کا قطعی علم نہ ہو اس وقت تک اس کا استعمال جائز ہے۔ ہاں اگر یقین اور تحقیق کے ساتھ معلوم ہوجائےکہ اس میں حرام اجزاء شامل ہیں تو اس کا استعمال ناجائز ہوگا۔
فتوی نمبر : 144108201293
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن

ڈیری ملک چاکلیٹ کے عناصر ترکیبیہ کی بابت ہمیں تحقیق نہیں اگر اس میں کوئی حرام وناپاک چیز کی آمیزش نہیں تو کھانا حلال ہے، محض شبہ کی بنا پر حرمت کا حکم نہیں ہاں کوئی احتیاط کرے تو اچھا ہے۔ 
واللہ تعالیٰ اعلم
فتوی نمبر
دارالافتاء،:346-306/M=4/1439
دارالعلوم دیوبند

الموسوعۃ الفقھیۃ الکویتیۃ: (392/39، ط: دار السلاسل)
قال الجصاص: قال أصحابنا: لا يجوز الانتفاع بالميتة على وجه

و فیھا ایضاً: (355/25، ط: دار السلاسل)
شحم الحيوان المذكى حلال من أي مكان أخذ. وأما الحيوانات غير المأكولة كالخنزير فشحمها حرام كغيره. وكذلك يحرم أكل شحوم الميتة فلا تؤثر التذكية فيه.

الفقہ الاسلامی و ادلتہ: (5265/7، ط: دار الفکر)
المواد الغذائية التي يدخل شحم الخنزير في تركيبها دون استحالة عينه مثل بعض الأجبان وبعض أنواع الزيت والدهن والسمن والزبد وبعض أنواع البسكويت والشوكولاته والآيس كريم، هي محرمة ولايحل أكلها مطلقا، اعتبارا لإجماع أهل العلم على نجاسة شحم الخنزير وعدم حل أكله، ولانتفاء الاضطرار إلى تناول هذه المواد.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...