আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে প্রায়  সময় মনে থাকে না। সিজদা ১ টা দিয়েছি নাকি ২ টা। অনেক সময়  প্রবল  ভাবে মনে হয় ২ টাই দিয়েছি।তাও আবার ভয় থাকে। এজন্য আরেক টা সিজদা দিই মাঝে মাঝে। এবং নামাজ শেষ হলে সালাম ফেরানোর পর ২ টা সিজদা দিই।

১. এরকম হলে প্রকৃত বিধান কি?

২.কোনো দিকে প্রবল ধারণা না হলে এক্ষেত্রে সাহু সিজদা দেওয়ার প্রকৃত নিয়ম কি?

৩.আমার সালাত কি আদায় হবে?

৪. নামাজ শুরু করার পর আমার প্রায়ই এমন হয় মনে হয় আল্লাহ আকবার বলে তাকবীর না দিয়েই সালাত শুরু করেছি।তখন সালাত ভেঙে পুনরায় তাকবীর দিয়ে সালাত শুরু করি,

কখনো এক ই সময়ে বার বার সালাত ভেঙে ৩ বার তাকবীর দেওয়া লাগছে। তারপর সালাত শুরু করেছি। এক্ষেত্রে কি গুনাহ‌‌ হবে? এক্ষেত্রে বিধান কি?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
নামাজে যদি হঠাৎ মনে মনে কনফিউশান হয় যে, সূরা মিলালাম কিনা? বা তাশাহুদ পরলাম কিনা? তাহলে তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে কোনো একদিককে নির্দিষ্ট করে সেই অনুযায়ী নামায পড়া এবং শেষে সাহু সিজদা দেয়া।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 1797

যদি সন্দেহের ভিত্তিতে সাহু সিজদা (যা ওয়াজিব হয়নি) দুই সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে নামায হয়ে যাবে।আর যদি এক সালাম ফিরিয়ে দেয়া হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়াতে হবে (কিতাবুন-নাওয়যিল-৩/৬৩৯)"

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) এরকম হলে প্রবল ধারণার উপর আমল করবেন।তিন তাসবিহ পরিমাণ দেড়ী হলে সাহু সিজদা দিতে হবে,নতুবা প্রয়োজন হবে না।
(২)কোনো দিকে প্রবল ধারণা না হলে, এক্ষেত্রে নামাযকে ভঙ্গ করে আবার পড়ে নিতে হবে।
(৩)আপনার সালাত আদায় হবে কি না? সেটা উপরোক্ত নিয়মনীতির উপর নির্ভর করবে। তারপরও যদি মনের মধ্যে খটকা বাধে, তাহলে আপনার মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
(৪) প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বুঝা যাচ্ছে, আপনি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত। তাই আপনার নামায ভঙ্গের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই, বরং আপনি নামাযকে চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
ওয়াস ওয়াসা থেকে মুক্তি পেতে কি করতে হবে হুজুর?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...