আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
https://ifatwa.info/96513/ এই ফতোয়ার প্রেক্ষিতে একটা বিষয় ক্লিয়ার করার জন্য প্রশ্ন করা:

উস্তায উপরোক্ত ফতওয়া লিংকে আপনি বলেছেন যে, আমার ভাই প্রবাসি ভাইদের টাকা দেশে পাঠাবে তো আমার ভাই হচ্ছে প্রবাসী ভাইদের পক্ষ থেকে উকিল। এবং সে তার ছোট ভাইয়ের কাছে টাকা দিবে। তো তার ছোট ভাই হচ্ছে তার পক্ষ থেকে উকিল। তো সেই ছোট ভাই ফিজিক্যালি হোক আর হোয়াটসঅ্যাপে আমাকে নাম্বারগুলো দিবে আমি ঐ নাম্বারগুলোতে টাকা পাঠিয়ে দিব। এখন সে যেহেতু কন্টিনিউ আমার মাধ্যমে টাকা পাঠাবে। তার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রতিনিয়ত আমার তো রাখার দরকার নেই এবং তার প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটা লেনদেনের সময় ফিজিক্যালি আমার দোকানে আসারও প্রয়োজন নেই। সে যেহেতু পরিচিত এবং কন্টিনিউয়াসলি লেনদেন করবে তো সে আমাকে দূর থেকে whatsapp এর নাম্বার গুলো দিয়ে দিলেই তো হবে। এভাবে তো লেনদেন করতে পারবো উস্তায তাই না??

আরেকটা বিষয় জানতে চাচ্ছি আমার খালাত ভাই যদি তার ছোট ভাইকে টাকা না দিয়ে ডিরেক্ট আমাকেই টাকা দেয়। এবং পরে নাম্বারগুলো দেয়। এবং আমি সেই নাম্বারগুলোতে টাকা পাঠিয়ে দিই এভাবে লেনদেন করলে কি সমস্যা হবে? কারণ থার্ড পার্সন যেই ব্যক্তিটা উনাকে তো এই ব্যবসায় প্রয়োজন হচ্ছে না। বিকাশের শর্ত মানার জন্য বিকাশ যেহেতু ফিজিক্যালি দোকানে আসতে হবে বলছে সেজন্য থার্ড পারসনকে ব্যবসায় ইনক্লুড করা। এখন থার্ড পারসন অর্থাৎ আমার খালাতো ভাইয়ের ছোট ভাই যেহেতু আমার পরিচিত এবং সে কন্টিনিউয়াসলি আমার মাধ্যমে লেনদেন করবে তো তার তো প্রতিটা লেনদেনের জন্য তার আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখার প্রয়োজন নেই, একবার রেখে দিলেই চলবে এবং তার ফিজিক্যালিও প্রতিটা লেনদেনের জন্য দোকানে আসার প্রয়োজন নেই। সে whatsapp এর নাম্বার দিয়ে দিলেই হবে এবং টাকার এমন বলে দিলেই হবে, যেহেতু সে আমার পরিচিত এবং তার আইডি কার্ড আমার কাছে আছে এবং সে কন্টিনিউয়াসলি লেনদেন করবে। তো এখন যদি থার্ড পারসন কে বাদ দিয়ে আমার ভাই সরাসরি আমাকে টাকা দেয় এবং আমাকেই নাম্বার দেয় তাহলে কি কোন সমস্যা হবে লেনদেনে?? কারণ আমার খালাতো ভাই তো পরিচিত, সে যেহেতু প্রবাসী ভাইদের পক্ষ থেকে উকিল। তো তার আইডি কার্ডের ফটোকপি একবার আমি নিয়ে নিলে। পরবর্তীতে সে কন্টিনিউয়াসলি আমাকে টাকা দিল, প্রবাসী ভাইদের নাম্বার দিল এবং সেই নাম্বারগুলোতে আমি টাকা পাঠিয়ে দিলাম এভাবে লেনদেন করলে কি কোন সমস্যা হবে কিনা উস্তায?? এখানে আর দ্বিতীয় উকিল ব্যাবহার না করলাম আমরা।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
https://ifatwa.info/96363/ নং প্রশ্নে আপনি উল্লেখ করেছেন যে
বিকাশে শর্ত হচ্ছে: আমি এজেন্ট ব্যবসায়ী হিসেবে ক্যাশ ইন বা কাস্টমারের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কাস্টমারকে ফিজিক্যালি আমার দোকানে আসতে হবে। এবং তার 5000 টাকার ঊর্ধ্বে টাকা পাঠালে তার আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখতে হবে ইত্যাদি। অথবা আইডি কার্ডের নাম্বার লিখে রাখতে হবে। 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিকাশের শর্ত মানার জন্য সেই ছোট ভাইকে প্রতিনিয়ত প্রত্যেকটা লেনদেনের সময় ফিজিক্যালি আপনার দোকানে আসতে হবে।

নতুবা এক্ষেত্রে বিকাশের শর্ত মানা হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে বিকাশের শর্ত মানা হচ্ছেনা।
কাস্টমার এর পক্ষ থেকে উকিল টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ফিজিক্যালি আপনার দোকানে আসছেনা।

সুতরাং এক্ষেত্রে বিকাশের শর্ত না মানার কারনে এটি বৈধ হবেনা।

(এ সংক্রান্ত আর কিছু জানার থাকলে নিকটতম দারুল ইফতায় স্বশরীরে যোগাযোগ এর পরামর্শ থাকবে।) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জী উস্তায জাযাল্লাহু খাইর। এখন বিষয়টা খুব সুন্দরভাবে ক্লিয়ার হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...