আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
29 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
https://ifatwa.info/96363/?show=96468#c96468 এই ফতওয়ার প্রেক্ষিতে একটা বিষয় ক্লিয়ার করার জন্য প্রশ্নঃ

ওস্তায এখানে একটা বিষয় আমার খটকা লাগতেছে যে কারণেই এই প্রশ্নটা করা। সেটা হচ্ছে যে আসলে বিকাশ তো দেশের বাহিরে কোন কিছু নাই। বিকাশ শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই। এখন দেশের বাহির থেকে অনেক বাংলাদেশী ভাইয়েরা বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠায় থাকে আর কি। বাংলাদেশ বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর মাধ্যমে। তো বিদেশ থেকে ভাই যে টাকাটা দিবে মান্থলি ঐটা তো লিগেল ভাবেই দিচ্ছে ব্যাংকের মাধ্যমে। এখন এখানে বিষয়টা হচ্ছে বিকাশের শর্ত হচ্ছে যে ফিজিক্যালি কাস্টমারকে দোকানে আসতে হবে। কিন্তু আমার ভাই যেসব নাম্বার আমাকে দিতেছে ওরা তো দেশের বাহিরে থাকে ওরা তো ফিজিক্যালের দোকানে আসতে পারবেনা এবং ওরা তাদের প্রিয়জনদের কাছে টাকা পাঠাচ্ছে তাদের প্রিয়জন্রাও বিভিন্ন জায়গায় থাকে। ফিজিক্যালি আসা পসিবল হচ্ছে না। ভাই আমাকে ওখান থেকে নাম্বার দিতেছে আমি টাকা পাঠিয়ে দিতেছি। এখন যেহেতু বিকাশ শর্ত দিয়েছে যে ফিজিক্যালি কাস্টমারকে দোকানে আসতে হবে: এখন আমি আপনাকে উক্ত যেই পদ্ধতিটা অবলম্বনের কথা বললাম যেটা হচ্ছে যে এখন আর আমার ভাই আমাকে সরাসরি টাকা দিবে না। সে তার ছোট ভাইকে টাকা দিবে এবং কাস্টমারদের নাম্বার দিবে। এবং তার ছোট ভাই আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে সেই নাম্বারগুলো দিবে এবং টাকার পরিমান বলে দিবে। এখন ওনার ছোট ভাই যেহেতু আমার পরিচিত আমার আত্মীয় তো সেক্ষেত্রে তার বারবার ফিজিক্যাল দোকানে আসতে হবে না। এবং তার আইডি কার্ডের ফটোকপি একবার রেখে দিলেই চলবে।
এখন আমার খটকার বিষয়টা হচ্ছে যে উক্ত পদ্ধতি অবলম্বন কি আসলেই বিকাশে শর্ত মানা হচ্ছে কিনা। কারণ বিকাশ তো বলছে যে কাস্টমারকে ফিজিক্যালি দোকানে আসতে হবে। এখন যেই ছোট ভাই দোকানে আসবে সেতো নাম্বার নিয়ে আসবে ঐ বিদেশের বাংলাদেশী ভাইদেরই। বিদেশের ভাইয়েরা তো আর দোকানে আসতে পারতেছে না। এখন কি এ পদ্ধতিতে বিকাশের শর্ত মনে হচ্ছে কিনা বা এভাবে লেনদেন কি জায়েজ হচ্ছে কিনা??

1 Answer

0 votes
by (682,000 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

المحيط البرهاني: (204/7، ط: دار الكتب العلمية)
لأن قبض الوكيل بمنزلة قبض الموكل من حيث إن الوكيل في القبض عامل للموكل.
ألا ترى أنه لو هلك في يد الوكيل كان بمنزلة ما لو هلك في يد الموكل فكأنها كسدت في يد الموكل
সারমর্মঃ-
কেননা উকিলের হস্তগত হওয়া মুয়াক্কিলের হস্তগত হওয়ার সমপর্যায়ের। 
তুমি কি দেখোনা উকিলের হাতে কোনো কিছু ধ্বংস হয়ে গেলে তাহা মুয়াক্কিলের হাতে ধ্বংস হওয়ারই নামান্তর হয়।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার যে ভাই বিদেশ থেকে প্রবাসীদের টাকা পাঠাবে,তিনি প্রবাসীদের পক্ষ থেকে উকিল।
তিনি আবার বাংলাদেশে থাকা তার ছোট ভাইকে টাকাটি দিবে।

সুতরাং তার ছোট ভাই তার বড় ভাইয়ের নিযুক্ত করা উকিল।

এমতাবস্থায় তার ছোট ভাইয়ের ফিজিক্যালি আপনার দোকানে আসা প্রবাসীদের আসারই নামান্তর। 

সুতরাং এ পদ্ধতিতে আপনার ইনকাম বৈধ হবে।

তবে এজেন্ট হিসাবে বিকাশ আপনাকে যে লাভ দিবে,শুধু সেই লাভ নেয়াই জায়েজ হবে,এর থেকে অতিরিক্ত লাভ নেয়া বৈধ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...