জবাবঃ-
মাহরাম গায়রে মাহরাম সকল প্রকার আত্মীয়ই সেলাহ রেহমির হক্বদার। যদিও তাদের স্থরে তারতম্য রয়েছে।
সিলাহ রেহমির স্থর
دَرَجَاتُ الصِّلَةِ:
ذَهَبَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ إِلَى أَنَّ دَرَجَاتِ الصِّلَةِ تَتَفَاوَتُ بِالنِّسْبَةِ لِلأَْقَارِبِ، فَهِيَ فِي الْوَالِدَيْنِ أَشَدُّ مِنَ الْمَحَارِمِ، وَفِيهِمْ أَشَدُّ مِنْ غَيْرِهِمْ
হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম,এবং শাফেয়ী ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,সিলাহ রেহমি আত্মীয়তার স্থরভেদে প্রযোজ্য হবে।মাহরামের তুলনায় মাতা-পিতার জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।আর গায়রে মাহরামের তুলনায় মাহরামের জন্য উচ্ছস্থরের সিলাহ রেহমি প্রযোজ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৫৭৭
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রী উভয় নিজ নিজ মাহরাম-গায়রে মাহরাম আম্তীয়র সাথে উত্তম আচরণ/ব্যবহার করবে।স্বামী-স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের আত্মীয়র সাথেও উত্তম ব্যবহার করবেন।স্বামী তার স্ত্রীর আত্মীয়র সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন।এবং স্ত্রীও স্বামীর আত্মীয়র সাথে উত্তম ব্যবহার করবেন।
স্ত্রী উনি উনার স্বামীর আত্মীয়র মধ্যে গায়রে মাহরাম আত্মীয়দের সাথে বিশেষ প্রয়োজন ব্যতীত দেখা সাক্ষাৎ কথাবার্তা বলবেন না।ঠিকতেমনিভাবে স্বামীও।ফিতনার আশংকা না থাকলে,স্ত্রী তার স্বামীর আত্মীয়র সাথে পরিপূর্ণ পর্দা ও হেজাব সহকারে কুশল বিনিময় করতে পারবে।তবে ফিতনার আশংকা থাকলে কোনো ভাবেই কথা বলা জায়েয হবে না।
মুখ পর্দার ভিতরে।বিনা জরুরতে গায়রে মাহরামের সামনে মুখ খোলা নাজায়েয।সুতরাং গায়রে মাহরাম আত্মীয়র সামনে মুখ খোলা রেখো যাওয়া যাবে না বা কুশল বিনিময়ও করা যাবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يا ايها النبى قل لازواجك وبناتك ونساء المؤمنين ...
হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব : ৫৯)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমন্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে।(ফাতহুল বারী ৮/৫৪)
ইবনে সীরিন বলেন, আমি (বিখ্যাত তাবেয়ী) আবীদা (সালমানী রাহ.)কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, কাপড় দ্বারা মাথা ও চেহারা আবৃত করবে এবং এক চোখ খোলা রাখবে।
উপরোক্ত আয়াতে পরপুরুষ আর গায়রে মাহরাম সবাই শামিল।
পরপুরুষ আর গায়রে মাহরাম পুরুষ পর্দার ক্ষেত্রে প্রায় সবাই বরাবর ও সমান।এমনকি গায়রে মাহরাম আত্মীয়র সাথে ফিতনার আশংকা অত্যন্ত প্রবল।সুতরাং গায়রে মাহরাম পুরুষের সাথে অন্যান্যর তুলনায় উত্তমরূপে পর্দা করা জরুরী।কেননা আত্মীয়তার সুবাদে শয়তান এখানে তার কর্মকান্ন্ড চালাতে বেশ সুযোগ পায়।
গায়রে পুরুষের সাথে কথা বলা ও নেকাব পড়া ব্যতীত তাদের সামন দিয়ে যাতায়ত সবই হারাম।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বান!
জরুরতে গায়রে মাহরাম মহিলাদের সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত কথাবার্তার অনুমোদন রয়েছে।তবে এক্ষেত্রে উভয়কে কোমলতা,রসাত্মক আলোচনা পরিহার করতে হবে।স্পর্শ করা বা কাছে ঘেষা ইত্যাদি সম্পূর্ণই হারাম।
সুতরাং দেবরের সাথে শুধুমাত্র কর্কষ ভাষায় কথা বললে পর্দার হেফাজত হবে না বরং এক্ষেত্রে মুখকেও দেবরের সামনে ঢেকে রাখতে হবে।