আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
মা আয়েশা রাঃ সকল মেয়ের আদর্শ, মেয়েদের তো নান-মাহরাম এর সাথে কথা বলা বা চলা ফেরা ঠিক না, তবে আয়েশা রাঃ বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ে সাহাবিদের সাথে কথা বলতেন সেটাও তো উচিত না, এছাড়া তিনি আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়ও যুবায়ের রাঃ এবং আরও অনেক পুরুষ সাহাবিগণদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। তারা কি আসলে মাহরাম ছিলো? আর নান-মাহরাম হলে কেন ছিলেন? এটা তো পাপ। আমি কোনো ভুল কিছু প্রমাণ করতে প্রশ্নটি করিনি, আমি নিজের জানার জন্যই প্রশ্ন করেছি।

1 Answer

0 votes
by (710,440 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
 যেহেতু আয়েশা রাযি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে সব সময় থাকতেন।তাছাড়া তিনি অন্যদের তুলনায় বেশ মেধাসম্পন্ন ছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বেশ এমন অনেক কিছুই জেনেছেন বা শিখেছেন, তা অন্য কেউ রপ্ত করতে পারেনি, এজন্য সাহাবাগণ অনেক সময় মাস'আলা জানার স্বার্থে,হাদীস জানা ও বুঝার স্বার্থে হযরত আয়েশা রাযির দ্বারস্থ হতেন। হযরত আয়েশা পর্দার আড়ালে থেকে সাহাবাদেরকে হাদীস শিক্ষা দিতেন, ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান দান করতেন। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিবিগণ উম্মতের মা,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
النَّبِيُّ أَوْلَىٰ بِالْمُؤْمِنِينَ مِنْ أَنفُسِهِمْ ۖ وَأَزْوَاجُهُ أُمَّهَاتُهُمْ ۗ وَأُولُو الْأَرْحَامِ بَعْضُهُمْ أَوْلَىٰ بِبَعْضٍ فِي كِتَابِ اللَّهِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ إِلَّا أَن تَفْعَلُوا إِلَىٰ أَوْلِيَائِكُم مَّعْرُوفًا ۚ كَانَ ذَٰلِكَ فِي الْكِتَابِ مَسْطُورًا
নবী মুমিনদের নিকট তাদের নিজেদের অপেক্ষা অধিক ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর স্ত্রীগণ তাদের মাতা। আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মুমিন ও মুহাজিরগণের মধ্যে যারা আত্নীয়, তারা পরস্পরে অধিক ঘনিষ্ঠ। তবে তোমরা যদি তোমাদের বন্ধুদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্য করতে চাও, করতে পার। এটা লওহে-মাহফুযে লিখিত আছে।(সূরা আহযাব-০৬)

হযরত আয়েশার সফরের কথা যে উল্লেখ করছেন,উনার সাথে মাহরাম পুরুষ উনার বাগিনা ছিলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...