আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

১। আমি প্রায় ই স্বপ্নে দেখি গাড়িতে  এ কোথাও যাচ্ছি বা যাবো , কখনো  বা দেখি ট্রেন এ  করে কোথাও যাবার কথা কিন্তু স্টেশন এ গিয়ে দেখি ট্রেন চলে গেছে, মানে ট্রেন তা মিস করেছি, পরে অন্য ভাবে সেখানে পৌঁছাতে হচ্ছে। এই স্বপ্নের কি ইসলামিক কোনো ব্যাখ্যা আছে? জানাবেন। 
 

২। আত্মীয়তার সম্পর্ক নিয়ে হাদিস পড়ার পর থেকে মনের মধ্যে ভয় হয়, আমার ইন  শা আল্লাহ

ভাই -বোন , বাবা- মা , চাচা -চাচি , খালা- খালু , ফুপু -ফুপা , শশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজন সবার সাথে সম্পর্ক ভালো। সবাই আমাকে খুব ভালোবাসেন।  শুধু আমার এক দূর সম্পর্কের চাচাতো বোন এর সাথে কথা হয়না অনেক দিন, দেখা ও হয় না, সে একটু অন্য রকম তাই সোশ্যাল সাইট গুলো তে  ম্যাসেজ দিতে আন  ইজি  ফীল  হয় আমার তাকে,  তবে সামনে দেখা হলে কথা বলতে অসুবিধা হবে না আশা করি,  সে তো আমার নিজের ও না , দূর সম্পর্কের বোন, ছোটবেলায় কাছাকাছি থাকা তে ভালো সম্পর্ক ছিল আর কি, তার ক্ষেত্রে কথা না হলে কি গুনাহ হচ্ছে আমার?  

 

আর একটা মামাতো বোন নিজে থেকেই আমাদের সাথে কথা বলে না, তার পার্সোনাল একটা কারণে, যদিও আমি নিজে থেকেই তার সাথে অনেক বার কথা বলার চেস্টা করেছি , কিন্তু সে রেস্পন্স করে না, এই দুজন বাদে  আমার পরিচিত, কাছের সব আত্মীয়ের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক, সব সময় কথা হয় না কিন্তু সম্পর্ক ভালো । আমার প্রশ্ন হচ্ছে  উপরোক্ত এই দুজনের ক্ষেত্রে কি আমার পাপ হচ্ছে? আমার করণীয় কি কিছু আছে আর এ ক্ষেত্রে? 

আর নন মাহারাম ছেলে কাজিনদের সাথে তো আমার কথা বলা জায়েজ নয়, যেহেতু আমি একজন মেয়ে, তাই তাদের সাথে ওভাবে কথা বলি না। আমার কি আরও কিছু করার আছে এ ক্ষেত্রে, নাকি আমি সঠিক,  অনুগ্রহ করে সহজ ভাবে বিস্তারিত সহ উত্তর টি দিবেন হুজুর।  


 

৩। কথার কথা তে হাসব্যান্ড কে যদি ভাই বলে ফেলা হয়, যেমন “ আরে ভাই রে এটা এমন না” , এ রকম বলে ফেললে কি গুনাহ হবে?  


 

৪। হাসব্যান্ড যদি নিজে থেকে খরচ এর টাকা না দেন তাহলে নিজের বা বাচ্চার জন্য দরকারি টাকা তাকে না বলে নেয়া যাবে? আমার বোন জামাই বোন কে হাত খরচ দেন না এবং অনেক  প্রয়োজন এ চাইলেও দিতে চান না। এক্ষেত্রে বোন কি খুব দরকার এ তার হাসব্যান্ড এর টাকা না বলে নিতে পারবে? 

 

৫। আমার বাবা, মা অসহায়, তাদের কে যদি আমি আমার নিজের টাকা থেকে কিছু দেই, যে টাকা টা একদম ই আমার নিজের যেটা হয়তো সব সময় হাসব্যান্ড কে জানানো হয় না যে আমি বাবা বা আম্মু কে এটা দিয়েছি,  কিন্তু জানলে তখন কিছু বলে না যেহেতু এটা আমার টাকা , এটা কি  দেয়া যাবে ?  

 

 

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।
তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
(বুখারী শরীফ ৬৫১২)

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى ـ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ـ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا مِنَ اللَّهِ، وَالْحُلْمُ مِنَ الشَّيْطَانِ ".

আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।
(৬৫১৩)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না।
(বুখারী শরীফ ৬৫১৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নের ব্যাখ্যাঃ-
উল্লেখিত স্বপ্নের মধ্যে এদিকে ইশারা রয়েছে যে দুনিয়া একটি ট্রেন বা গাড়ির মতো।
চিরস্থায়ী ভাবে থাকার স্থান নয়।

সুতরাং এ দুনিয়াকে সাজানো গোছানোর ফিকির তেমন বেশি না করে আখেরাতের সামানা তৈরীর বেশি ফিকির করতে হবে 

এই দুনিয়াতে এমন কাজ করা উচিত,যাহা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও উভয় জাহানে কামিয়াবির কারন হবে।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে সামনা সামনি উক্ত বোনদের সাথে সাক্ষাৎ হলে অবশ্যই সালাম বিনিময় করবেন।

(০৩)
এতে স্বামী কষ্ট না পেলে গুনাহ হবেনা।

(০৪)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান জানুনঃ- 

(০৫)
এই টাকার একচ্ছত্র মালিকানা যেহেতু আপনাত,সুতরাং এ টাকা আপনার বাবা মাকে দিতে পারবেন।

এক্ষেত্রে স্বামীকে না জানালেও সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...