আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
১.হুজুর, একজনের পুরোনো একটা বেপর্দা আইডির এক্সেস হারিয়ে ফেলেছে, সেখানে সে কিছুতেই লগইন করতে পারেনা।  এমতাবস্থায় উক্ত আইডিতে কিছু ছবি ও গুনাহের আলামত রয়ে গেছে। এখন ফেইসবুকের একটা পেইজ, Bangladesh civillian force  -এমন আইডি গুলো ডিজেবল করতে পারে কিন্তু তাদের কোনো মেয়ে মেম্বার নেই। আইডি টা থাকলে অনেক পুরুষ দেখার সম্ভাবনা। তিনিও কোনো পুরুষকে দিয়ে আইডি ডিজেবল করানো টা মানতে পারছেন না . এমতাবস্থায় তিমি জানতে চান তার করনীয় কি?


২.আমি অবিবাহিত। দাদাবাড়ী বেড়াতে গেলে সেখানে কি কসর হবে।  (১০০কিমি) আমার বাবা বলেন, এটা তোমাদের বাড়ি তাই এখানে কসর পড়বেনা। যদি কসর না হয়, তাহলে আমরা অনেক সময় দাদাবাড়িতে যেয়ে সেখান থেকে ২০ কিমি দূরত্বে নানাবাড়ি বেড়াতে যাই, তখন নানাবাড়িতে কি কসর পড়বো?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
এক্ষেত্রে মেয়েটি নিজের কোনো মাহরাম পুরুষ এর মাধ্যমে সেই পেইজের সাথে যোগাযোগ করে নিজের আইডি ডিজেবল করিয়ে দিবেন।

(০২)
ওয়াতনে আসলি তথা স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।

فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) ( قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)

সারমর্মঃ ওয়াতনে আসলী, ওয়াতনে আসলিত দ্বারা বাতিল হয়ে যায়। ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং  পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা। 
অন্যথায় সেটা ওয়াতনে আসলি হিসেবেই থাকবে।  

আরো জানুনঃ

সফরের দুরত্বে তবে,সেখানে যদি ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি থাকার নিয়ত করে,তাহলে সেই স্থান ওয়াতনে ইকামত বলা হবে।
সেখানে পূর্ণ নামাজই আদায় করতে হবে।   

https://ifatwa.info/36976/ ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছেঃ
আয়েশা রাযি. বলেন,

فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ


মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)

অপর হাদিসে এসেছে,

عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

قال في الدر (مع الرد، کتاب الصلاة باب صلاة المسافر: ۲/۵۹۹، ۶۰۰، ط: زکریا دیوبند): من خرج من عمارة موضع إقامتہ من جانب خروجہ وإن لم یخرج من الجانب الآخر.. قاصدًا... إھ 

সারমর্মঃ যেই দিক থেকে সে বাহির হবে,সেই দিক থেকে শহরের সীমা অতিক্রম করতে হবে,,,,

فى تنوير الابصار- (من خرج من عمارة موضع إقامته) قاصدا مسيرة ثلاثة أيام ولياليها بالسير الوسط مع الاستراحات المعتادة صلى الفرض الرباعي ركعتين حتى يدخل موضع مقامه أَوْ يَنْوِيَ إقَامَةَ نِصْفِ شَهْرٍ (الدر المختار، كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر-2/599-605، قاضى خان-1/164)

সারমর্মঃ কোনো ব্যাক্তি যদি তিন দিন তিন রাত সমপরিমাণ  দুরত্ব সফর করে,নিজ শহরের মৌজা থেকে বের হওয়া মাত্র ব্যাক্তি চার রাকাত ওয়ালা ফরজকে চার রাকাত করে আদায় করবে।

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনাদের ওয়াতনে আসলি কোনটা?
বাবার বাসা? 
নাকি দাদার বাসা?

মূলত যেই বাসায় আপনার বাবা স্ত্রী সন্তান নিয়ে আজীবন থাকতে চান,সেটিই ওয়াতনে আসলি। 

যদি আপনাদের দাদার বাসায় আপনার বাবা স্ত্রী সন্তান নিয়ে আজীবন থাকতে চান,সেক্ষেত্রে আপনার দাদার বাসা ওয়াতনে আসলি। এমতাবস্থায় সেখানে গেলে কসর নামাজ আদায় করা যাবেনা।
পূর্ণ নামাজই আদায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে দাদাবাড়িতে যেয়ে সেখান থেকে ২০ কিমি দূরত্বে নানাবাড়ি বেড়াতে গেলে সেখানেও পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
কসর আদায়ের সুযোগ নেই।

★আর যদি আপনার বাবা বাসায় আপনার বাবা স্ত্রী সন্তান নিয়ে আজীবন থাকতে চান,সেক্ষেত্রে আপনার দাদার বাসা ওয়াতনে আসলি নয়। এমতাবস্থায় সেখানে গেলে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেখানে কসর নামাজ আদায় করতে হবে।

এমতাবস্থায় দাদাবাড়িতে যেয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করার পর সেখান থেকে ২০ কিমি দূরত্বে নানাবাড়ি বেড়াতে গেলে সেখানেও ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেখানেও কসর নামাজ আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (3 points)
1.হুজুর গুনাহের আলামত মেয়েটির মাহরাম পুরুষ জানলে অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হবে। মেয়েটি অন্ত্যন্ত স্বল্প কথায় যোগাযোগ করতে পারবে কি সেই পেইজের সাথে? 
২.হুজুর দাদার বাড়ি যদি ওয়াতনে আসলি হয়, তাহলে নিজ শহুরে বাসা থেকে বের হয়ে আগে যদি নানাবাড়ি যাই, তখন কি সেখানে কসর আদায় করবো? 
by (678,880 points)
১. পারবে। তবে প্রয়োজন অতিরিক্ত কথা বলা যাবেনা। ফিতনার আশংকা থাকলে কথা বলা যাবেনা।

২. হ্যাঁ, এক্ষেত্রে নানা বাড়িতে কসর আদায় করবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 63 views
0 votes
1 answer 168 views
...