জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ أَتَدْرُونَ مَا الْمُفْلِسُ قَالُوا الْمُفْلِسُ فِينَا مَنْ لاَ دِرْهَمَ لَهُ وَلاَ مَتَاعَ فَقَالَ إِنَّ الْمُفْلِسَ مِنْ أُمَّتِى يَأْتِى يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِصَلاَةٍ وَصِيَامٍ وَزَكَاةٍ وَيَأْتِى قَدْ شَتَمَ هَذَا وَقَذَفَ هَذَا وَأَكَلَ مَالَ هَذَا وَسَفَكَ دَمَ هَذَا وَضَرَبَ هَذَا فَيُعْطَى هَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ وَهَذَا مِنْ حَسَنَاتِهِ فَإِنْ فَنِيَتْ حَسَنَاتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْضَى مَا عَلَيْهِ أُخِذَ مِنْ خَطَايَاهُمْ فَطُرِحَتْ عَلَيْهِ ثُمَّ طُرِحَ فِى النَّارِ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, একদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা কি জান, নিঃস্ব কে? সাহাবাগণ বললেন, ’আমাদের মধ্যে নিঃস্ব সেই ব্যক্তি, যার কোন দিরহাম নেই, যার কোন আসবাব-পত্র নেই।’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতে নামায, রোযা ও যাকাত নিয়ে উপস্থিত হবে। কিন্তু সেই সঙ্গে সে দেখবে যে, সে একে গালি দিয়েছে, ওর নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর মাল আত্মসাৎ করেছে, ওকে খুন করেছে, একে মেরেছে— ইত্যাদি। সুতরাং প্রতিশোধ স্বরূপ একে নিজের নেকী দান করবে, ওকেও নিজের নেকী দান করবে। পরিশেষে যখন নেকী নিঃশেষ হয়ে যাবে অথচ তার প্রতিশোধ শেষ হবে না, তখন ওদের গোনাহ নিয়ে এর ঘাড়ে চাপানো হবে এবং সবশেষে তাকে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে!
(মুসলিম ৬৭৪৪, আহমাদ ৮০২৯, তিরমিযী ২৪১৮, ইবনে হিব্বান ৪৪১১, বাইহাকী ১১৮৩৮, সিলসিলাহ সহীহাহ ৮৪৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার সাহাবীদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো, নিঃস্ব কে? তাঁরা বললেন, আমরা তো নিঃস্ব বলতে তাকেই বুঝি, যার কোনো ধন-সম্পদ নেই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, নিঃস্ব সে নয়, প্রকৃতপক্ষে নিঃস্ব হচ্ছে সে, যে কিয়ামতের দিন অনেক নামায- রোযা-যাকাতের নেকী নিয়ে আসবে, কিন্তু দুনিয়াতে সে একে গালি দিয়েছে, তাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, এর মাল জোর করে দখল করেছে, ওর রক্ত প্রবাহিত করেছে অর্থাৎ তাকে হত্যা করেছে অথবা আহত করেছে, তাই সকল মাযলুম তার সেসব জুলুমের বদলা নিতে আসবে। আল্লাহ তাআলা তখন জুলুমের বদলা হিসেবে তার নেকীগুলো মাজলুমদের দিয়ে দিবেন। একপর্যায়ে তার সকল নেকী শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জুলুমের বদলা নেওয়া এখনো শেষ হবে না। তখন মাজলুমের গোনাহগুলো চাপিয়ে দিয়ে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জালেমের জুলুম পরিমান ছওয়াব মাজলুমকে দেয়া হবে।
যদি সেই পরিমান ছওয়াব না থাকে,সেক্ষেত্রে মাজলুমের গুনাহ জালেমকে দেয়া হবে।
(০২)
না,কাটাকাটি হয়ে যাবেনা।
(০৩)
না,কাটাকাটি হয়ে যাবেনা।
কেননা গীবতের একটি বৈধ ছুরত এটিও আছে যে,
জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
গীবতের বৈধ ছুরত গুলি জানুনঃ-
তবে নাজায়েজ পদ্ধতিতে গীবত করে থাকলে সেক্ষেত্রে কাটাকাটি না হলেও কিয়ামতে এর দরুন জালেম হতে মাফ চাইতে হবে।
নতুবা আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেননা।
(০৪)
হ্যাঁ, লেখা হবে।