আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
সংংক্ষেপে বলি:

আমাকে একটি কোম্পানিতে ৩ মাসের জন্য ইন্টার্ণ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু অনেক প্রেশার দেয়া হত। যেকারণে প্রায়ই ভুল হত। তাছাড়া একেক সময় একেক ইন্সট্রাকশন দেয়া হত। এরপরেও নানাভাবে তারা আমাকে হেনস্তা করত। কটু কথা বলত। আমি চুপ করে শুনতাম আর সহ্য করে যেতাম। মাঝে মাঝে আমার সমস্যা গুলো বলার চেস্টা করতাম। কিন্তু একটা পর্যায় মানসিক অত্যাচার এত চরমে পৌছাল যে আমি উলটা পালটা বলে ফেলতাম। আমি এটাই বোঝাতে চাইতাম যে, আমার সাথে অন্যায় হয়েছে আর আমি তার প্রতিবাদ করছি। তারা সর্বদা আমাকে দোষারোপ করত। আমাকে পারমানেন্ট করার আশা দেখানো হলেও এক পর্যায়ে আমার সাথে কমিউনিকেশন ছাড়াই ২ মাস ইন্টার্ণ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। আর একটা পর্যায়ে আমার স্যালারি আটকে দেয়া হয়। আমি ৩-৪ বার বিনয়ের সাথে কমিউনিকেশন করতাম। তারা গুরুত্ব না দেয়ায় বাধ্য হয়ে মাথা গরম করে অনেক কথা শুনিয়ে শুনিয়ে বলি। এই যেমন: আপনাদের যদি সামর্থ্য নাই থাকে স্যালারি দেয়ার তবে আমাকে জানাতেন, আমি মাগনা কাজ করে দিতাম। আপনারা স্যালারি দিতে পারেন না ঠিকমত অথচ কাজে ভুল ধরেন। এই কোম্পানি ফকিন্নি জানলে কাজ ই করতে আসতাম না।
বিষয় টা হচ্ছে, স্যালারি শিটে আমার নাম দেয়া ছিল না। তারা বলছে এটা ভুল করে হয়েছে। আমাকে ২০ দিন পর স্যালারি দেয়া হবে। এটা আমাকে তখন ই জানানো হয়েছে যখন আমি মাথা গরম করে অনেক কথা বলি তারপর। বিনয়ের সাথে বলার সময় গুরুত্ব দেয়া হয়নি। অথচ আমার টিমের সবার স্যালারিই দেয়া হয়েছে।


তাদের যুক্তি হল, আমার ব্যাবহার খারাপ, তাই আমাকে তারা রাখবেনা। আমার নামে অনেক কুৎসা রটানো হয়েছে। দেখা গেছে আমি মনে কস্ট নিয়ে একজনকে একটা কথা বলেছি সে সেটা ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছে। এই যেমন আমি বললাম, আমাকে অমুক ভাই কাজ করতে দেয়নি বলে আজ আমাকে কথা শুনতে হল। তো যাই হোক, অভিমানে কস্টে অনেক কথাই বলে ফেলতাম।


আমাকে দিয়ে অনেক পরিশ্রম করানো হত। ৪ জনের কাজ আমাকে দিয়ে করানো হত। চাপ নিতে না পারায় আমাকে কস্ট দেয়া হত। তাদের ভাষায় এটা হল শাসন। আর আমার কথা হচ্ছে, আমার ভুলের জন্য এই শাসন হলে আমি মেনে নিতাম। কিন্তু, আমাকে ভুল ইন্সট্রাকশন দেয়া হল, আমাকে অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হল, তার কারণে আমি ভুল করলাম। সেইজন্য আমি কেন কথা শুনব?


উল্লেখ্য, আমি জিন দ্বারা আক্রান্ত ও ওসিডিতে আক্রান্ত আর আমি মাঝে মাঝে রিএক্ট করে ফেলি এই ইস্যু টা জানিয়েই রেখেছিলাম। তাও তারা আমার সাথে খারাপ ব্যাবহার করত।
আমি এক দুই বার চুপ থাকলেও পরে একবারে রিএক্ট করতাম হয়ত সেটা জিনগত কারণে বা মনের কস্ট থেকে।


এখন আমাকে চাকরি থেকে ছাটাই করা হল। স্যালারি সময়মত না দেয়ায় প্রতিবাদ করায় আমার এ হাল।
১। এওবস্থায় আমি কি মাজলুম বলে বিবেচিত হব?


২। আমি কি এমন দুয়া করতে পারব যস, আল্লাহ, আমার সাথে যদি ন্যায়বিচার হয়ে থকে তবে ক্ষমা করে দাও আর অন্যায় হয়ে থকলে আমার হয়ে তুমি ফয়সালা করে দাও বা তাদের ধ্বংস করে দাও।


উল্লেখ্য, তারা একটা প্রজেক্ট রান করাতে গিয়ে অনেক কে নিয়োগ দিয়েছে আর ৪ মাসের মাথায় অর্ধেক কে ছাটাই করে দিয়েছে এক মাসের মধ্যে। অনেক মানুষ বিপদের মধ্যে পড়ে গেছে। মূল কারণ, লিডারশিপে সমস্যা। ইন্সট্রাকশনে সমস্যা। আর পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা।
by (51 points)
উত্তরের অপেক্ষায়

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মাযলুম যালিমের কাছ থেকে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত প্রতিশোধগ্রহণ করতে পারবে বা প্রতিশোধের অপেক্ষায় থাকতে পারবে এতে তার কোন প্রকার গুনাহ হবেনা।এ সম্পর্কে আরোও শুনুন আল্লাহর তা'আলার বাণী.....

ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺻَﺎﺑَﻬُﻢُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻲُ ﻫُﻢْ ﻳَﻨﺘَﺼِﺮُﻭﻥَ

যারা আক্রান্ত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে।(৪২সূরা আশ শূরা-৩৯)
ﻭَﺟَﺰَﺍﺀ ﺳَﻴِّﺌَﺔٍ ﺳَﻴِّﺌَﺔٌ ﻣِّﺜْﻠُﻬَﺎ ﻓَﻤَﻦْ ﻋَﻔَﺎ ﻭَﺃَﺻْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺟْﺮُﻩُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ

আর মন্দের প্রতিফল তো অনুরূপ মন্দই। যে ক্ষমা করে ও আপোষ করে তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে; নিশ্চয় তিনি অত্যাচারীদেরকে পছন্দ করেন নাই।(৪২/৪০)

ﻭَﻟَﻤَﻦِ ﺍﻧْﺘَﺼَﺮَ ﺑَﻌْﺪَ ﻇُﻠْﻤِﻪِ ﻓَﺄُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻣَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢ ﻣِّﻦ ﺳَﺒِﻴْﻞٍ ، ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟﺴَّﺒِﻴﻞُ ﻋَﻠَﻰْ ﺍﻟّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﻈْﻠِﻤُﻮﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻭَﻳَﺒْﻐُﻮﻥَ ﻓِﻲْ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟْﺤَﻖّ ، ﺃُﻭْﻟﺌِﻚَ ﻟَﻬُﻢ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ

নিশ্চয় যে অত্যাচারিত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে, তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই।
অভিযোগ কেবল তাদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের উপর অত্যাচার চালায় এবং পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে বিদ্রোহ করে বেড়ায়। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।(৪২/৪১-৪২)

আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি মাজলুম হিসেবে বিবেচিত হবেন।

(০২)
ধ্বংস করে দেয়ার দোয়া করা যাবেনা।

"অন্যায় হয়ে থাকলে আমার হয়ে তুমি ফায়সালা করে দাও"

এই দোয়া করা যাবে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...