আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আমার বিয়ে হয়েছে ১ বছর বয়ের আগের জীবনে রবের সাথে যে সম্পর্ক ছিলো নামাজ মিস হলে শরীর কাপত সারাদিন মনে পরত অশান্তি এসে যেত অন্তরে । গোনাহগার বান্দা আমরা গোনাহ হয়েই যায় ।আগে গোনাহ করলে কেউর হক্ব নষ্ট হলে ভরফাই করতাম ডাবল গুনে এখন গোনাহ হলেও একটু খারাপ লাগলেও স্কিপ করে যায় ।  জিহবা ,নফস হেফাজত করতে পারিনা বিয়ের পর থেকে স্বামীর সাথে সবসময় মনোমালিন্য হয়ে গেছে । বিয়ের আগে সে দেখয়েছিলো সে দ্বীনদার বিয়ের পর ধোকা খেলাম মিথ্যা বুঝ পেয়েছি । রাগ আমার স্কুল জিবন থেকেই কিছু কারণে রাগ জিদ বেড়ে যায় কিন্তু দ্বীন বুঝার পরে নিজেই কন্ট্রলে এনেছিলাম কিনতু বিয়ের পরে রাগ জিদ গলার সাউন্ড সব বেড়ে গেছে।আমার জাওজ এর অনেক রাগ জিদ তার সাথে বিয়ের ৩য় দিন থেকেই ঝামেলা শুরু । বাবা মা কে বলেছিলাম বেদ্বীন মানুষ এর সাথে থাকতে পারবোনা তার আমল নাই ,স্মুক করে ,। তারা বুঝেনি কারণ তাড়াও মানেনা উত্তর দিসে তার টা সে বুঝবে তুই তোর টা কর । বেকার দেখেই বিয়ে করেছি রবের জন্যই বিয়ে করেছি যেনো হারাম এ না যাই দিন শেষে সে রিজকের চেষ্টা খুব একটা করেনা । নিজের সকল খরচ নিজে চালায় বাবা থেকে অথবা নিজের ইনকাম থেকে । সে কিছু করেনা দেখে আমি ঘরে বসে রান্নার কোর্স করাই । আমার দ্বীনি সার্কেল হারায় ফেলসি সরে গেসি সংসার এর খাতিরে । আই ও এম এর স্টুডেন্ট আমি ২১৬ ব্যাচ এর বিয়ের পর ইলম অর্জন আর কন্টিনিউ হয়নাই ।
এখন আমার আমি যে মানুষ সে একটা জালেম বেদ্বীন ইভেন সে পূর্বের মানুষ থেকেও খারাপ আমার গোনাহ আমি বুঝি রাগ কিদ সব বুঝি স্বামির সাথে তর্ক করা হারাম নিষেধ কিন্থ ইসলামের বিরুদ্ধে কথা গেলে রাগ অটো আসে ইভেন লেভাস নিয়ে অপমান জনক কথা বলে আসছে শুরু থেকেই ।
দিন শেষে অনেক ঝামেলা হতে হতে আমি আমাকে হারিয়ে ফেলেছি আমার রব কে হারিয়ে ফেলেছি। আগে রাতে দুরুদ পড়তে গেলেই বুক ফেটে কান্না আসত কানতে কানতে ঘুমাতাম যে আমার রসূল (সা:) আর নেই । এখন কান্না থাক জিকির ই করিনা ।
নামাজ পড়তে অলোসতা লাগে পড়িও না ত্যাক্ত লাগে মেজাজ খিটমিট করে ,আমল করতে ভুলে যাই ৫ মিনিট করলে বাকি সময় স্বরণে থাকেনা,কুরয়ান পড়তে গেলে কাজের কথা মাথায় ঘুরে উঠে কাজে যাই । আগে তালিম দিতাম এখন সব কিছু ছেড়ে দিসি বিরক্ত লাগে শুনতে বা বলতে  ।মনে হয় আমি নিজেই ত ঠিক নাই ত আবার কিসের কথা । এখন আর স্বামিকেও বলিনা সে ৫ ওয়াক্ত নামাজ টাই পড়ে তাও অনেক যুদ্ধ করা লাগছে দাড়ি রাখানো ,টাখনুর উপরে প্যান্ট পড়ানো স্বলাতের জন্য শেষ অব্দি এই তিনগা হলেও জিহবা ঠিক হইনি। এদিকে আমি ঝড়ে পরে গেসি ।ওনার দিকে তাকালে মনে হয় সে আমাকে শেষ লরে দিসে আমার সকল আমল রবের সাথে মহাব্বত সব শেষ শুধু তার জন্য ।
সাথে থাকলে সহ্য হয়না মেজাজ খিটমিট করে আবার দূরে গেলে অস্বাভাবিক মায়া কাজ করে বাপের বাড়িতে থাকতে ইচ্ছে করেনা ।কি করবো আমি কিভাবে আমার হারিয়ে যাওয়া হেদায়েত ফিরে পাবো কিভাবে সেই কেদে কেদে ফরিয়াদ করব ? কোনো আমল দেন যেনো আমল এর উসিলায় আমার রব আমার অলোসতা দুর করে দেন নামাজে দাড়ানোর তাওফিক দেন গোনাহ থেকে ফেরার সুযোগ দেন ।আমাকে আমার রবের সাথে সম্পর্ক করার কিছু দেন । প্লিইইইজ্জ

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)

রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- 1037 

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
সার্বিক পরিস্থিতির উপর আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। এবং নেককার ব্যক্তিদের খুজে খুজে তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করুন। আল্লাহ আপনাকে অটল অবিচল থাকার তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...