আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,068 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (10 points)
সুফীবাদ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? মাওলানা জালালূদ্দীন রুমী এর কার্যাবলী ও গবেষনা কি ইসলাম সিদ্ধ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ


 আল্লাহ তা'আলা কুরআনে কারীমে ঘোষনা দেন-
ﻭَﺫَﺭُﻭﺍْ ﻇَﺎﻫِﺮَ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺑَﺎﻃِﻨَﻪُ ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﻜْﺴِﺒُﻮﻥَ ﺍﻹِﺛْﻢَ ﺳَﻴُﺠْﺰَﻭْﻥَ ﺑِﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﻳَﻘْﺘَﺮِﻓُﻮﻥَ 
 তোমরা প্রকাশ্য ও প্রচ্ছন্ন গোনাহ পরিত্যাগ কর। নিশ্চয় যারা গোনাহ করেছে, তারা অতিসত্বর তাদের কৃতকর্মের শাস্তি পাবে।(সূরা আন'আম-১২০) 

 মানুষের সাথে সম্পর্কিত আ'মল দুই প্রকার যথাঃ- 
  1. (১)প্রকাশ্য আ'মল 
  2.  (২)অপ্রকাশ্য আ'মল 
 প্রকাশ্য আ'মল আবার দু ধরণের হতে পারে। যথাঃ 
  • ক) ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় যেমনঃ- নামায,রোযা, ইত্যাদি। 
  • (খ)নেতিবাচক যেমন - চুরি-ডাকাতি,ব্যভিচার ইত্যাদি। 

ঠিকতেমনিভাবে অপ্রকাশ্য আ'মল ও দু ধরণের হতে পারে। যথাঃ 
  •  (ক)ইতিবাচক ও প্রশংসিত যেমনঃ- বিনয়,ভদ্রতা ইত্যাদি। 
  •  (খ)নেতিবাচক ও নিন্দনীয় যেমনঃ- অন্তরে হিংসা-বিদ্বেষকে লালন করে,অহংকার, অভদ্রতা। 
প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সবগুলো আ'মলই কুরআন-হাদীসে বর্ণিত থাকলেও সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় কিন্তু শুধুমাত্র প্রকাশ্য আ'মল গুলোরই শিক্ষা দেয়া হয়।এবং কোথাও কোথাও এ দুই প্রকারের আ'মলের শিক্ষার সিলেবাস থাকলেও ব্যবহারিকভাবে শুধুমাত্র প্রকাশ্যে আ'মলেরই শিক্ষা দেয়া হয়।অপ্রকাশ্য আ'মলের শিক্ষা দেয়া হয় না কললেও অত্তুক্তি হবে না।এমনকি এর প্রয়োজনীয়তাকে অনেকে অনুভবও করেন না। যেহেতু প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অা'মলের সবগুলোই কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এবং পূর্ণ মানুষত্ব্য অর্জনের জন্য সবগুলোরই অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।বিশেষ করে অপ্রকাশ্য অা'মল গুলো অবহেলিত হওয়ায় সেটার প্রয়োজনীয়তা অত্যাবশ্যকীয়। এই অপ্রকাশ্য আ'মলগুলোর শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকাশ্য আ'মলগুলোকে ব্যবহারিক ভাবে নিজের জীবনের সাথে ঘনিষ্টকরণের জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে সেটার নামই হল তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধন। এই তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধনের জন্য একজন মুসলিহ বা আত্মসংশোধনকারীর প্রয়োজন পড়ে।যার সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে উৎপেতে থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হয়।কেননা সার্বক্ষণিক সাথে না থাকলে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না। 

মোটকথাঃ 
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।(বিস্তারিত জানতে দেখুন-আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)

তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়। সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মাশাল্লাহ, অনেক গুছালো আলোচনা। 

জাজাক আল্লাহ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...