আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
94 views
in সাওম (Fasting) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম আজ তো সৌদিতে চাঁদ দেখা গেছে এক এ  জিলহজ্জ শুরু তো আমরা বাংগালীরা কিভাবে সেহরী করবো আজ রাত করবো (১৯ জুন)  নাকি (২০ জুন রাতে খাবো??
জিলহজ্জ এর গুরুত্বপূর্ণ আমল যেগুয়া করলে অনেক সওয়াব হবে আবার গুনাহ ও মাফ হবে সেগুলা জানাবেন।
আমি দ্বীন বুঝার পরে ৪-৫ বছর গুনাহ হক্ব জিনাহ ফিতনা এসব থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেছি ৫ ওয়াক্ত নামাজ তাহাজ্জুদ নফল রোজা অনেক কিছুতে ছিলাম।  এমনোও সময় ছিলো আমি তালিম দিলে আমার জড়তা কাজ করতো না অনেক বোন এর হেদায়েত এর বুঝ এর উসিলাও হয়েছি।  এখন আমার হাল এত বাজে বাজে যে আমি তালিম দিতে গিয়ে ভয়ে লজ্জায় দি না আমল করতে ইচ্ছে করে শরীরে আমলের টাইমে খুব অলোস লাগে নামাজ কাজ্বাও করিনা কাফের এর হালত হয়ে গেছে বুঝি তবে রবের দিকে ফিরতে চাই পারিনা গুনাহ জেনেও তাতে ফেসে থাকি চাইলেও যেন পারিনা৷  বিয়ের পর থেকে হাওলাত বাজে হয়ে গেসে। স্বামী দ্বিনের দ ও মানতে চায়না আমি যা ছিলাম সব গেছে জিনাহ ফিতনা গুনাহ জেনেও সরতে পারিনা৷  কেন?
অন্তর ফেটে যায় অথচ রব এর দিকে ফিরে যেতে কষ্ট হয় হাত   পা কাজ করেনা শরীর জ্বলে নামাজে দাড়ালে মনোযোগ দিয়ে নামাজ আদায় করতেই পারিনা।  আমাকে এমন আমল বলে যা দ্বারা আমার গুনাহ মুছে যাবে আল্লাহ আমার হয়ে যাবে আমি আমল করে শান্তি লাগবে সুকুন মিলবে।  আর এই হাওলাত ভালো লাগে না অশান্তি লাগে।

1 Answer

0 votes
by (676,360 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


আজকে (১৯ শে জুন) সোমবার আমাদের দেশে চাঁদ উঠলে ২০ শে জুন মঙ্গলবার থেকে আপনি জিলহজ্জ মাসের নফল রোযা রাখতে পারেন।

জিলহজ্জ মাসের ১ম দশদিনের আমল সম্পর্কে জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আনাস রাযি. বলেন, রাসুল ﷺ (উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য) সব সময় এই দোয়া করতেন, 

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِىْ عَلىٰ دِيْنِكَ 

হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তর আপনার দীনের উপর দৃঢ় করে দিন।

আনাস রাযি. বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনার উপর এবং আপনার আনিত শিক্ষার উপর ঈমান এনেছি। এখন আপনার মনে কি আমাদের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ আছে? ( যে বেশি বেশি এই দোয়া করেন!) রাসুল ﷺ উত্তর দিলেন হ্যাঁ! সব অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মধ্যে পড়ে আছে। আল্লাহ যেভাবে চান, এগুলোকে পরিবর্তন করেন। (তিরমিযি ২১৪০ তাকদির অধ্যায়)

★সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করবেন।

রাসূলুল্লাহ্ ﷺ দোয়া করতেন,

اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَن زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا

হে আল্লাহ আমাকে তাকওয়ার তওফীক দান করুন এবং নাফসকে পবিত্র করুন, আপনিই তো উত্তম পবিত্রকারী। আর আপনিই আমার নাফসের মুরুব্বী ও পৃষ্ঠপোষক। (মুসলিম ২৭২২)

সুতরাং আপনিও দোয়াটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

নেককার মহিলাদের সোহবত গ্রহণ করুন। তাদের সাথে বেশি উঠাবসা করুন।
মাস্তুরাত জামাতের সাথে যুক্ত হতে পারেন।

এতে নফস নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাওবার উপর অটল থাকা আপনার জন্য সহজ হবে। 

 আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)

ঈমান ও ইসলামের পরিবেশে সময় ব্যয় করুন।

আপনাকে বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করার ও শোনার পরামর্শ দিচ্ছি। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا

আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। (সূরা আনফাল ২)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নিয়মিত যিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করুন।
হক্কানী শায়েখদের জাহান্নামের শাস্তি সম্বলিত ওয়াজ শুনুন,ও এ সংক্রান্ত গ্রন্থাবলী পড়ুন।

মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করুন।

নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 237 views
...