জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো ধার্মিক মেয়েকে ধার্মিক পাত্রের কাছেই পাত্রস্ত করা উচিত। তাহলেই সংসারে শান্তি আসে সাধারণতঃ।
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ ۖ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ ۚ أُولَٰئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ ۖ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ [٢٤:٢٦
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। [সূরা নূর-২৬]
,
ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন।
২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা।
৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী।
৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।
এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম। বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।
,
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক। আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।
,
কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}
,
আরো জানুনঃ
,
বাণিজ্যিক ব্যাংকে চাকুরীজীবীরা সাধারণতঃ সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদের সাথে জড়িত ব্যক্তির সাথে আত্মীয় করা থেকে প্রতিটি মুমিনেরই বিরত থাকা উচিত।
,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلاَّ تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الأَرْضِ، وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কাছে এমন লোক বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও [মাল-সম্পদের দিকে লক্ষ্য করো না]। যদি তা না কর তবে দেশে ফিতনা ও ব্যাপক ফাসাদ দেখা দেবে। [সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১০৮৪, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৯৬৭]
বাকি ছেলে যদি ধার্মিক হয়, আর ব্যাংকের অধিকাংশ কার্যক্রম হারাম নয় এবং লোকটি এমন ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করে, যেখানে সরাসরি সুদী কারবার হয় না, যেমন ভিসার টাকা জমা নেয়া, বিভিন্ন সরকারী বিল গ্রহণ ইত্যাদি জায়েজ কাজের ডিপার্টমেন্টে কর্মরত হলে বিয়ে দিতে সমস্যা নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত মেয়ের জন্য উক্ত ছেলেকে বিবাহ না করাই উচিত।
তবে বিবাহ হয়ে গেলে স্ত্রী তার সেই হারাম ইনকাম থেকে ভরনপোষণ নিতে পারবে।
স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।সে যেখান থেকেই ভরণপোষণ সংগ্রহ করুক,সেটা স্ত্রী গ্রহন করতে পারবে,এতে গুনাহ শুধুমাত্র স্বামীরই হবে।
স্ত্রীর নয়।