আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহু।
১। আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি কম্পিউটার বিজ্ঞান নিয়ে। ইদানীং আমার মনে হয় যে আমি দ্বীন এর জন্য কিছু করতে পারছি না এজন্য আগ্রহ প্রায়ই কমে যায়। এই শিক্ষা বা ডিগ্রী এর দ্বারা কিছুই হাসিল হচ্ছে না এই ভেবে। আমার কি এভাবে চালিয়ে যাওয়া তে কোনো কল্যাণ আছে। আমার বাবা প্রায় ১৫/১৬ বছর ধরে খরচ করে আসছেন আমার পড়াশুনার জন্য।


২। মাঝে মাঝে মনে হয় কেন আমি এখানে। কেনো ইলম অর্জনের সৌভাগ্য হল না। কেন জেনারেল লাইন এ এলাম। এসবি কি আমার তাক্বদীর? এর দ্বারা তো কোনো পরকালীন ফায়দা হচ্ছে না।


৩। মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে দিয়এ ইলম এর জন্য বা দ্বীন এর জন্য শ্রম দেই। ইলম দ্বারা যা খেদমত করা যায় আর কোনো ভাবে করা যায় না। এবং প্রতি টা মুসলিম এর জন্য দায়িত্ব খেদমত করা। আমার এই শিক্ষা যদি ইলম অর্জন বা খেদমত এ সময় দেবার পথে বাধা হয় তাহলে কি করণিয় শায়েখ? কিভাবে দ্বীন এর খেদমত করতে পারি?


৪। আল্লাহ এর কাছে কি এভাবে দুয়া করা যাবে যেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পরিশ্রম বা চাপ এর বিনিময়ে উত্তম উপার্জন এর ব্যবস্থা করে দেন বা দ্বীন এর খেদ্মত এর ব্যবস্থা করে দেন?

৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা তে ক্ষতি করা কি জায়েজ হবে যদি ইলম এর জন্য বা উপার্জন এর জন্য সময় বের করি।

৬। এক্ষেত্রে মা বাবার আদেশ বা ইচ্ছা কে কি অরাধান্য দিতে হবে(যেহেতু তারা খরচ করএন), নাকি আমার ইচ্ছা।

৭। জেনারেল লাইন শিক্ষিত দের জন্য কিভাবে ইলম অর্জন শুরু করা উচিত এবং কোন দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বেশি দয়া করে জানাবেন।

৮। শায়েখ রিযিক আর তাক্বদীর এর মধ্যকার সম্পর্ক কি সে বিষয়ে জানতে চাই। দুয়ার মাধ্যমে কি এ দুটি পরিবর্তনযোগ্য? অর্থাৎ ভালো কিছু পাওয়া?

জাযাকাল্লাহু খইরন।


আশা করি দয়া করে প্রশনের বিস্তারিত উত্তর দিবেন। আল্লাহ আপনাদের ইলম এ বারকাহ দান করুক এবং আপনাদের শ্রম এর বিনিময়ে অতি উত্তম প্রতিদান দান করুক এই দুয়া করি। আমার জন্য দুয়া করবেন।

1 Answer

0 votes
by (712,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনি আল্লাহর সাহায্য চেয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যান।
(২) যত রকমই চিন্তা আসুক না কেন? আপনি আপনার পড়ালেখাকে চালিয়ে যান। পাশাপাশি অবসর সময়ে দ্বীন শিখার চেষ্টা করবেন।নিয়মিত নামায রোযা করবেন।
(৩)  সব কিছু ছেড়ে দেয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বরং সবকিছুকে সাথে রেখেই সামনে অগ্রসর হতে হবে। 

(৪)  বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পরিশ্রম বা চাপ এর বিনিময়ে উত্তম উপার্জনের ব্যবস্থা হওয়া বা দ্বীন এর খেদমতের ব্যবস্থা হওয়ার দু'আ করা যাবে।

(৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনাতে ক্ষতি করে ইলমের জন্য বা উপার্জন এর জন্য সময় বের করা উচিৎ না। হ্যা, ফরয পরিমাণ ইলম শিখার জন্য সবকিছুই বিসর্জন দিতে হবে।

(৬) মাতাপিতার বিধিনিষেধ কে মান্য করা উচিৎ।

(৭) জেনারেল লাইন শিক্ষিতদের জন্য IOM ভর্তি হয়ে যাওয়াই উচিৎ।

(৮) রিযিক আর তাক্বদীর। দুয়ার মাধ্যমে এ দুটি পরিবর্তনযোগ্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...