আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
44 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় সবাই ই ইন্ডিয়া থেকে inspire হয়ে তাদের মতো চলার চেষ্টা করে, অনেক কিছু follow ও করে। আগে দেখতাম ইন্ডিয়ান মেহেন্দি আর্টিস্টরাই পদ্মফুল দিয়ে একটা design করে। আমি এই পদ্মফুল গুলো তাদের বিভিন্ন উৎসব বা মূর্তির সাথেও দেখেছি। তারা এটাকে অনেক পবিত্র ও ভাবে হয়তো। ইদানিং আমাদের দেশের মেয়েরাও এই design টা হাতে আঁকে। তারা হয়তো জানে টা এটা কি mean করে। তারা হয়তো সাধারন ফুল হিসেব করেই এই design টা আকাচ্ছে, আমি জানি না কার নিয়াত কেমন। আমার ২টা প্রশ্ন এখানে যে এই design টা আকা কি জায়েজ হবে আমাদের জন্য? বা নিয়াত যদি থাকে যে normal আল্লাহর বানানো একটা ফুল ঐ হিসেব করি আঁকতেছি তাহলে কি প্রব্লেম হবে না?

1 Answer

0 votes
by (712,880 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীস শরীফে এসেছে.....
ﻋَﻦْ ﺍﺑْﻦِ ﻋُﻤَﺮَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺒَّﻪَ ﺑِﻘَﻮْﻡٍ ﻓَﻬُﻮَ ﻣِﻨْﻬُﻢْ ) ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ( ﺍﻟﻠﺒﺎﺱ / 3512 ) ﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﻓﻲ ﺻﺤﻴﺢ ﺃﺑﻲ ﺩﺍﻭﺩ : ﺣﺴﻦ ﺻﺤﻴﺢ . ﺑﺮﻗﻢ ( 3401
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ বলেন যে ব্যক্তি অন্য গোত্রে (অমুসলিম)-র অনুসরণ করবে সে তাদের-ই অন্তর্ভুক্ত হবে।(আবু-দাউদ-৩৫১২)ইমদাদুল ফাতাওয়া,৪/২৬৬।

সাদৃশ্য গ্রহণ তিন ভাবে হতে পারে।
(১)ফিতরী তথা জন্মগত বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ। এটা হারাম হবে না।
(২)পদ্ধতির অনুসরণ।যেমন তারা যেভাবে খাবার গ্রহণ করে বা হাটাচলা করে,তাদের এগুলোর অনুসরণ।এগুলো হারাম হবে তখন,যদি পূর্ব থেকেই মুসলমানদের আলাদা কোনো পদ্ধতি থাকে।
(৩)কাফিরদের ধর্মীয় বিষয়ের অনুসরণ। এটা সর্বাবস্থায় হারাম।(ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- 11420 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পদ্মফুল যদি হিন্দদের ধর্মীয় কোনো প্রতিক হয়, তাহলে তো মুসলমানদের জন্য সেটা আঁকা জায়েয হবে না। তবে পদ্মফুল হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিক কি না? সেটা নিশ্চিতভাবে আমরা জানিনা। এমন কোনো কথা কখনো শুনিনি। তাই আমাদের জানামতে পদ্মফুল আঁকিয়ে মেহেদি দেওয়া নাজায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (7 points)
Google Wikipedia থেকে নেয়া কিছু ইনফো share করছি।
⭕পদ্ম (সংস্কৃত: पद्म) বিষ্ণুর মূর্তিবিদ্যায় চারটি প্রতীকের মধ্যে একটি।[১] এটি জলের উপর বিষ্ণুর বাসস্থানের সাথে সম্পর্কিত, সেইসাথে সৃষ্টি ও জন্মে তার ভূমিকার সাথে।[২][৩]
---এটা বিশ্বাস করা হয় যে পদ্মের সাথে বিষ্ণুর যোগসূত্রটি তার সহধর্মিণী লক্ষ্মীর প্রতীকে ফুলের উপস্থিতি থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যার জন্য এটি জল এবং উর্বরতার প্রতিনিধিত্ব করে। পদ্মধারী বিষ্ণুর ভাস্কর্যগুলি পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতাব্দীর, যা তাঁকে পদ্মনাভ (পদ্ম-নাভিযুক্ত), পুণ্ডরীকাক্ষ (পদ্ম-চোখযুক্ত), এবং পদ্মপানি (পদ্ম-হাত) উপাধি দিয়ে উপস্থাপন করে। দেবতার মাথা থেকে গজিয়ে ওঠা পদ্ম সহ নৃসিংহের মূর্তিগুলি ষষ্ঠ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে তৈরি করা হয়েছে। এক স্তরে, বিষ্ণুর হাতে শঙ্খ ও পদ্ম জলের সাথে তার সম্পর্ককে নিষিক্তকারী প্রতিনিধি ও মহাজাগতিক প্রতীক হিসাবে নির্দেশ করে। শঙ্খ ও পদ্ম হল সবচেয়ে শুভ চিহ্নগুলির মধ্যে একটি, এবং নিজেরাই প্রায়শই ঘরোয়া ভবনের প্রবেশপথের উভয় পাশে আঁকা হয়। পদ্ম পৃথিবীর প্রতীক এবং এমনকি বলা হয় যে এটি মহাবিশ্বকে ধারণ করে, এবং তাই এটি মহাবিশ্বের ঐশ্বরিক রক্ষাকর্তার প্রতীক হিসাবে বিশেষভাবে উপযুক্ত। বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণ বিশেষভাবে বলেছেন যে বিষ্ণুর নাভি থেকে বের হওয়া পদ্ম পৃথিবীর প্রতীক, যখন বৃন্তটি মহাজাগতিক পর্বত, মেরু, মহাবিশ্বের অক্ষকে প্রতিনিধিত্ব করে। বিষ্ণুর হাতে এটি জলের প্রতীক এবং লক্ষ্মীর হাতে সম্পদ।[১১] বিষ্ণু ও তাঁর সহধর্মিণী ভুদেবীর বরাহ অবতারের অংশও তৃতীয় শতাব্দীতে আবিষ্কৃত হয়েছে। ভূদেবী নিজে পদ্মের উপর দাঁড়িয়ে আছেন, যখন বরাহ তার বাম হাতে পদ্মের কুঁড়ি ধারণ করে পৃথিবীকে ধারণ করার তার অনায়াসে অভিনয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।[১২]
---সাহিত্:
বৈষ্ণব স্তোত্রগুলি প্রায়শই পদ্মকে বিষ্ণু বা নারায়ণের বৈশিষ্ট্য হিসাবে উল্লেখ করে, তার পদ্মের চরণ,[১৩] পদ্মের চোখ, পদ্মের নাভি,[১৪] এবং পদ্মের গলার ইঙ্গিত দেয়।

পদ্মপুরাণ হল আঠারোটি প্রধান পুরাণগুলির মধ্যে একটি যা বিষ্ণুর গুণের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এবং এতে তাঁর প্রশংসার জন্য উৎসর্গ করা বড় বড় অংশ রয়েছে।
⭕বৌদ্ধ :পদ্মের মধ্যে নবজাতক পদ্মসম্ভব আবির্ভূত। ক্রিমসন এবং গিল্ডেড কাঠ, ট্রন-হো রাজবংশ, ভিয়েতনাম, 14-15 শতক
অংগুত্তার নিকায় , বুদ্ধ নিজেকে একটি পদ্মের সাথে তুলনা করেছেন ( সংস্কৃতে পদ্ম , পালিতে , পদুমা ), [৩] বলেছেন যে পদ্মফুল কাদাবিহীন জল থেকে উদিত হয়, যখন তিনি এই পৃথিবী থেকে উত্থিত হন, শেখানো অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হন । নির্দিষ্ট সুতায়। [৪] [৫]

বৌদ্ধ প্রতীকবাদে , পদ্ম শরীর , বক্তৃতা এবং মনের বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে , যেন বস্তুগত আসক্তি এবং শারীরিক কামনার ঘোলা জলের উপরে ভাসছে। ঐতিহ্যগত জীবনী অনুসারে, গৌতম বুদ্ধের প্রথম সাতটি ধাপে পদ্মফুল ফুটেছিল। [৬] লোটাস সিংহাসন বৌদ্ধ শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং প্রায়শই অন্যান্য ভারতীয় ধর্মের জন্য সাধারণ স্তম্ভ ।

তিব্বতে, পদ্মসম্ভব , পদ্ম-জন্ম, দ্বিতীয় বুদ্ধ হিসাবে বিবেচিত হয়, যিনি স্থানীয় দেবতাদের জয় বা ধর্মান্তরিত করে সেই দেশে বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে এসেছিলেন; তাকে সাধারণত একটি ফুল ধরে চিত্রিত করা হয়। [৭] তাঁর জন্মের একটি বিবরণ হল যে তিনি একটি পদ্ম ফুলের ভিতর আবির্ভূত হন।
⭕খ্রিস্টধর্ম: ভারতে খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তনের পর থেকে , সেন্ট থমাস খ্রিস্টানদের মূর্তি চিত্রিত হয়েছে সেন্ট থমাস খ্রিস্টান ক্রস , যাকে পারস্য ক্রসও বলা হয়, একটি পদ্ম সিংহাসনে বিশ্রাম, একটি স্টাইলাইজড পদ্ম ফুল। একইভাবে, চার্চ অফ দ্য ইস্ট দ্বারা চীনে খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তনের পরে , চীনা খ্রিস্টান প্রতিমাবিদ্যায় নেস্টোরিয়ান ক্রসকে প্রায়শই একটি পদ্ম ফুলের উপর চিত্রিত করা হয়েছিল।

Persian cross atop a lotus flower from St Thomas mount, Chennai, Tamil Nadu, India
সেন্ট থমাস মাউন্ট, চেন্নাই, তামিলনাড়ু , ভারত থেকে একটি পদ্ম ফুলের উপরে ফার্সি ক্রস
 
Rubbing of a Nestorian cross at the Temple of the Cross in Fang-shan district, about 30 miles south-west of Beijing, China
চীনের বেইজিং থেকে প্রায় 30 মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ফ্যাং-শান জেলার ক্রস মন্দিরে একটি নেস্টোরিয়ান ক্রস ঘষা
বাহাই বিশ্বাস
❗❓তবে কি এই ফুল আঁকা জায়েজ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...