ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন দিতে দেরি হলে যে, জরিমানা নেয়া হয়। এটা জায়েয হবে না।কেননা অার্থিক জরিমানা অগ্রহণ যোগ্য।এতে সুদের অর্থ রয়েছে।উপরন্তু, আলেমদের মাঝে মূলত: আর্থিক জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া জায়েয কিনা তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
মূল বিধান হচ্ছে–
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]
সৌদী আরবের ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, এক গোত্রের কিছু লোক এই মর্মে একমত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কিছু কিছু বিষয়ে লিপ্ত হবে তার উপরে কিছু আর্থিক জরিমানা ধার্য করা কি জায়েয হবে?
জবাবে তাঁরা বললেন: “এ ধরণের পদক্ষেপ নাজায়েয। কেননা এটি এমন লোকদের পক্ষ থেকে আর্থিক জরিমানা ধার্য করা, যারা আইনগতভাবে (শরিয়ত মোতাবেক) সে ক্ষমতা রাখে না। বরং এ ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে- বিচার বিভাগ। তাই, এ ধরণের জরিমানা প্রত্যাহার করা কর্তব্য।”[ফাতাওয়াল লাজনাহ্ আদ্ দায়িমা (১৯/২৫২)]আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
বেতন পরিশোধ করতে দেড়ী হলে,নিম্নোক্ত পদ্ধতিকে গ্রহণ করা যেতে পারে।অর্থাৎ মাসের 10 তারিখের ভিতরে বেতন পরিশোধ না করলে ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল পূর্বক সমস্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়া।পরবর্তীতে ভর্তি প্রক্রিয়াকে আবার রিনিউ করতে হলে ১০০ টাকা জমা দিয়ে বেতন পরিশোধ করা।
(২)এটাও নাজায়েয ও হারাম।যেহেতু এত্থেকে বাচার কোনো রাস্তা নেই,কারণে রাষ্টীয়ভাবে এমনটা করা হয়েছে।তাই কেউ কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে গেলে সে আদায় করে নেবে।
(৩)যা করছি আল্লাহর জন্যই করছি,এমন নিয়ত রেখে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো করা যাবে।রিয়া হবে না,ইনশাআল্লাহ।