আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
971 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (64 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন দিতে দেরি হলে মে জরিমানা নেয়া হয় সেটা কি সুদ?

২) গ্যাস বিল বা বিদ্যুত বিল পরিশোধ করতে দেরি হলে মে জরিমানা নেয়া হয় সেটা কি সুদ?

৩) মানুষের জন্য কোন ইবাদত ছেড়ে দেয়া যদি রিয়া হয় তাহলে কেউ নতুন নতুন দ্বীনের আসার পর মানুষ হয়ত মনে করবে শোঅফ করছি বা তারা যদি হাসে বা বিদ্রুপ করে এই ভয়ে সালাম না দেয় ঐটা কি রিয়া হবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন দিতে দেরি হলে যে, জরিমানা নেয়া হয়। এটা জায়েয হবে না।কেননা অার্থিক জরিমানা অগ্রহণ যোগ্য।এতে সুদের অর্থ রয়েছে।উপরন্তু, আলেমদের মাঝে মূলত: আর্থিক জরিমানার মাধ্যমে শাস্তি দেয়া জায়েয কিনা তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

মূল বিধান হচ্ছে–
এক মুসলমানের জন্য অন্য মুসলমানের সম্পদকে অন্যায়ভাবে গ্রহণ করা হারাম।যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
قَالَ: «فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ، بَيْنَكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ»
“নিশ্চয় তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, তোমাদের ইজ্জত-আব্রু তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম (পবিত্র) যেমনিভাবে তোমাদের এই দিনটি তোমাদের এই মাসে ও এই দেশে হারাম (পবিত্র)। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির নিকট এসব কথা পৌঁছে দেয়।”[সহিহ বুখারী (৬৭) ও সহিহ মুসলিম (১৬৭৯)]

সৌদী আরবের ফাতাওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, এক গোত্রের কিছু লোক এই মর্মে একমত হয়েছে যে, যে ব্যক্তি কিছু কিছু বিষয়ে লিপ্ত হবে তার উপরে কিছু আর্থিক জরিমানা ধার্য করা কি জায়েয হবে?
জবাবে তাঁরা বললেন: “এ ধরণের পদক্ষেপ নাজায়েয। কেননা এটি এমন লোকদের পক্ষ থেকে আর্থিক জরিমানা ধার্য করা, যারা আইনগতভাবে (শরিয়ত মোতাবেক) সে ক্ষমতা রাখে না। বরং এ ক্ষমতার অধিকারী হচ্ছে- বিচার বিভাগ। তাই, এ ধরণের জরিমানা প্রত্যাহার করা কর্তব্য।”[ফাতাওয়াল লাজনাহ্ আদ্ দায়িমা (১৯/২৫২)]আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।

বেতন পরিশোধ করতে দেড়ী হলে,নিম্নোক্ত পদ্ধতিকে গ্রহণ করা যেতে পারে।অর্থাৎ মাসের 10 তারিখের ভিতরে বেতন পরিশোধ না করলে ভর্তি প্রক্রিয়া বাতিল পূর্বক সমস্ত সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়া।পরবর্তীতে ভর্তি প্রক্রিয়াকে আবার রিনিউ করতে হলে ১০০ টাকা জমা দিয়ে বেতন পরিশোধ করা।
এ সম্পর্কে  বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/8713

(২)এটাও নাজায়েয ও হারাম।যেহেতু এত্থেকে বাচার কোনো রাস্তা নেই,কারণে রাষ্টীয়ভাবে এমনটা করা হয়েছে।তাই কেউ কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে গেলে সে আদায় করে নেবে।

(৩)যা করছি আল্লাহর জন্যই করছি,এমন নিয়ত রেখে যা ইচ্ছা তাই করতে পারবো করা যাবে।রিয়া হবে না,ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...