আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
115 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)

আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম

১)তাজিমী সিজদা কী শুধুই হারাম নাকি শিরক?

একটি আর্টিকেলে ফাতওয়া আলমগীরির রেফারেন্স সহ দেখলাম

বাদশা আওরঙ্গজেব আলমগীর রহমাতুল্লাহি আলাই বলেছেনঃ
من سجد للسلطان على وجه التحية أو قبل الأرض بين يديه لايكفر و لكن يا ثم لا رتكاب الكبيرة وه‍و المختار و قال الفقيه أبو جعفر رحمه الله ان سجد للسلطان بنية العبادة او لم تحضره النية فقدكفر.
অর্থ: যে ব্যাক্তি সম্মানের উদ্দেশ্যে কোন বাদশাহ কে সেজদা করল কিংবা তার সম্মুখে মাটিতে চুমু খেল তাতে সে কাফের হবে না, বরং সে যে মহা অপরাধ করেছিল তার কারণে সে গুনাগর হয়ে যাবে। এটাই মুখতারের মাযহাব (দ্বীন) এবং ফকীহ আবু জাফর রহমাতুল্লাহি আলাই বলেছেন যে, যদি সে ইবাদতের নিয়তে বাদশাহকে সেজদা করে বা সে সময় ইবাদত ও তাহিয়াত কোন নিয়ত ছিল না, তো অবশ্যই কাফের হয়ে গেছে।
لا يجوز السجود الا لله تعالى.
অর্থ: আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কাউকে সেজদা করা না জায়েজ।
(ফাতওয়া আলমগীর খন্ড ৫ পৃষ্ঠা ৪৪৯)

এটিই কি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সম্মান প্রদর্শনের নিয়তে সিজদা করলে ঐ সিজদাকারী ব্যক্তি সাথে সাথে কাফির হয়ে যাবে। কেননা এখানে শিরক হচ্ছে।
হাদীস শরীফে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' বলেছেন, যদি আমি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কাউকে সিজদা করার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম সে যেন স্বামীকে সিজদা করে।
کفایت المفتی میں ہے :
"سجدہ تعظیمی اور سجدہ عبادت ایک چیز ہے اور سجدہ تحیہ دوسرا ہے۔ سجدہ تعظیم اور سجدہ عبادت غیر اللہ کے لیے موجبِ کفر ہے؛ کیوں کہ غیر اللہ کی تعظیم سجدہ کے ساتھ کرنا اور اس کی عبادت سجدہ کے ساتھ کرنا، دونوں کا مفاد ایک ہے۔ ہاں، سجدہ تحیہ میں مقصد جدا گانہ ہوتا ہے۔ تحیت کے معنی اور ہیں کہ ملنے والے کو ملاقات کے وقت کوئی ایسا لفظ کہنا یا ایسا کام کرنا جو تہذیب  ملاقات اور ملنے والے کی خوشنودی کا باعث ہو، تحیہ کہلاتا ہے۔" (ج1 ، ص 232)

مشكاة المصابيح :
"وعن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: لو كنت آمر أحداً أن يسجد لأحد، لأمرت المرأة أن تسجد لزوجها. رواه الترمذي.

وعن أم سلمة قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: أيما امرأة ماتت وزوجها عنها راض دخلت الجنة. رواه الترمذي".(کتاب النکاح ص: 681، ط: قدیمی)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...