আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ।  প্লিজ দ্রুত রিপ্লে দিন।
প্রায় ২-৩ মাস যাবত প্রিয়ড হয় না আর এম্নিও প্রিয়ডে সমস্যা ২০২০ সাল এর পর থেকে ।  রোজার আগে দেখা যেত যোহর টাইমে ১ ফোটা এর চেয়েও কম ব্লাড স্রাব / গোলাপী পানি দেখতাম।  ত অনেক দিন ওয়াস ওয়াসার জন্যে নামাজ ও বাদ হয়ছে।  এর পর থেকে  আর পাত্তা দেয়নি ত সম্পূর্ন রোজায় যেটা হয়ছে শুধু মাত্র ইফতারের পরে ১ ফোটা বা তার কম কালচে স্রাব বা ব্লাড দেখেছি ।  আর ইন্টিমেট  হবার সময় ও পুরান রক্ত দেখা যায় খুবই কম। ত এই অবস্থায় নামাজ রোজা ইবাদত সব করে যাচ্ছি।  এখন শুধু ওয়াস ওয়াসা হয় যে নামাজ কি হচ্ছে!  রোজা কি হচ্ছে?
৯০% শিউর এটা প্রিয়ডের ব্লিডিং।  ইনফেকশন ও আছে।  আর এর আগেও ডক্টর বলছে এটা অস্বাভাবিক। আর এটাও কিছুটা শিউর যে ব্লাড টা ইন্টিমেট হওয়ার স্থান  থেকেই আসতে পারে।  আল্লাহ ই ভালো জানেন।  আরেকটা কথা সেহরির পর বা রোজা অবস্থায় কখনোই ব্লাড দেখেনি।  এখন এই অবস্থায় সে কি করবে সে কি এগুলা কে ইস্তেহাযা ধরে সে নিয়ম পালন করবে?  নাকি এটা অস্বাভাবিক ব্লিডিং / প্রিয়ড না ভেবে সতর্কতার সাথে সব রোজা ইবাদত করে যাবে!!  আমক কোন হিসাব রাখেনি যেহেতু অনেক দিন যাবত আমার এই সমস্যা।
বাকি আছে ৫ টা রোজা, ইস্তেহাযা ধরলে কি বাকি রোজা রাখবোনা!?
ওয়াসওয়াসা অনুসূচনা এসব এ ইবাদত করেও একটা ভয় থেকে যাচ্ছে।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
"সম্পূর্ন রোজায় যেটা হয়ছে শুধু মাত্র ইফতারের পরে ১ ফোটা বা তার কম কালচে স্রাব বা ব্লাড দেখেছি"

★প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি হায়েজ নয়।
এটি ইস্তেহাজা।
এ সময়ে নামাজ রোযা আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমার কি রোযা কাযা করতে হবে?   
by
আমি সব গুলো রোযায় ই রেখেছি।  এখন কি আমাকে আরো কাযা করতে হবে?  
by (565,890 points)
আর রোযার কাজা আদায় করতে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...