আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

সম্মানিত মুফতি সাহেব, আমি এক পরিচিত ব্যাক্তিকে গরু/ছাগল পালতে দিতে চাচ্ছি। এখন গরু/ছাগল কিনা বাবদ উক্ত টাকা অর্ধেক অর্ধেক করে আমরা দুজনেই দিব । আমাদের মাঝে গরু/ছাগল পালনের খরচ বাবদ সবকিছু সমান দুই ভাগ হবে। কিন্তু যিনি পালন করবেন তিনি লাভ/লস এর ৫২% পাবেন আর আমি ৪৮% পাব। আর কষ্ট করে লালন পালন  করার জন্য যিনি পালন করবেন তাকে বছরে ১ হাজার টাকা দিতে চাচ্ছি।  কারন তিনি সময় দিতে পারবেন আর আমি পারব না।
গরু/ছাগল কিনা বাবদ যে টাকা ওনি দিবেন সেটা আপাতত ওনাকে দিতে হবে ধার হিসাবে,কারন আপাতত ওনার কাছে টাকা নাই।গরু/ছাগল বিক্রি করে আমাকে ধারের টাকা দিয়ে দিবেন।আর যদি লস হয় কোন কারনে তাহলে টাকাটা ওনার কাছ থেকে আমি আর নিব না,আমার কোন দাবী থাকবে না ওই টাকার প্রতি।


উক্ত পদ্ধতি ঠিক আছে কি না,যদি না থাকে তাহলে সঠিক টা জানাবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★শরীয়তে ধোকামুলক কোনো চুক্তি বৈধ নয়। 

সহীহ পদ্ধিত হল, গরুর মালিক লালন-পালনকারীর সাথে নির্দিষ্ট পারিশ্রমিকের বিনিময়ে চুক্তি করবে। সেক্ষেত্রে গরু থেকে প্রাপ্ত যাবতীয় আয় গরুর মালিক পাবে আর লালন-পালনকারী খাবারের খরচ ও নির্ধারিত পারিশ্রমিক পাবে। (আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৩৯৮; আলবাহরুর রায়েক ৮/৩৮)

কেউ গরু ছাগল বর্গা দিতে চাইলে তার জায়েয পদ্ধতি হল, প্রথমে গরু বা ছাগলের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যেমন একটি গরুর মূল্য চল্লিশ হাজার টাকা। অতপর অর্ধেক গরু অর্ধেক দামে তথা বিশ হাজার টাকায় বর্গা গ্রহণকারীর নিকট বিক্রি করবে এবং বাকি অর্ধেক মূল্য সে অপারগ হলে ক্ষমা করে দিবে অথবা পরবর্তীতে তার সুবিধা মত সময়ে পরিশোধ করার সুযোগ দিবে। এরপর বর্গা গ্রহণকারী গরু বা ছাগল লালন-পালন করতে থাকবে। লালন-পালন শেষে তারা উভয়ে গরু ছাগল, দুধ ও বিক্রি পরবর্তি লভ্যাংশতে অর্ধাঅর্ধি মালিক হবে। আর লালন-পালনের খরচ উভয়ে সমান ভাবে বহন করবে। আর এ পদ্ধতিই উত্তম।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত চুক্তি বৈধ।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...