ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا حُرِمَهَا فِي الآخِرَةِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়ায় মদ পান করেছে অতঃপর তাত্থেকে তওবা করেনি, সে আখিরাতে তাত্থেকে বঞ্চিত থাকবে। (সহীহ বোখারী-৫৫৭৫)
مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَّسْقِيَهُ اللهُ الْـخَمْرَ فِيْ الْآخِرَةِ فَلْيَتْرُكْهَا فِيْ الدُّنْيَا، وَمَنْ سَرَّهُ أَنْ يَّكْسُوَهُ اللهُ الْـحَرِيْرَ فِيْ الْآخِرَةِ فَلْيَتْرُكْهُ فِيْ الدُّنْيَا.
‘‘যার মনে চায় যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে আখিরাতে মদ পান করাবেন সে যেন দুনিয়াতে মদ পান করা ছেড়ে দেয় এবং যার মনে চায় যে, আল্লাহ্ তা‘আলা তাকে আখিরাতে সিল্কের কাপড় পরাবেন সে যেন দুনিয়াতে সিল্কের কাপড় পরা ছেড়ে দেয়’’। (ত্বাবারানী/আওসাত্ব খন্ড ৮ হাদীস ৮৮৭৯)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যারা দুনিয়াতে শরাব পান করবে, বা রেশম কাপড় পরিধান করবে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে শরাব পান করানো হবে না বা রেশম পরিধান করানো হবে না। এই হাদীসের অর্থ ও ব্যখ্যা করতে যেয়ে উলামায়ে কেরামদের প্রচন্ড মতবিরোধ হয়েছে। সঠিক এটাই মনে হয় যা হাদীস জাহির থেকে বুঝা যায় যে, জান্নাতে তারা প্রবেশ করলেও তাওবাহ না করার কারণে জান্নাতি শরাব তাদের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। তবে যিনার ব্যাপারে এমন কোনো হাদীস বর্ণিত হয়নি।