আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
১।আমি যখন স্কুলে পড়তাম আমার অমুসলিম বান্ধবীই ছিল বেশি। তখন দিনের বুঝ ছিলো না তারা নিমন্ত্রণ করলেও তাদের পূজায় যেতাম, খেতাম। আমি ওগুলা থেকে তওবা করে নিয়েছি।
সব বান্ধবী র মধ্যে দুজন বেশি ক্লোজ ছিল। আমি পরিবর্তন হওয়ার পরও যোগাযোগ ছিল। তো আমি একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম আমি তাদের কে দাওয়াত দিব কিন্তু আমার নলেজ খুব কম তাও আমি বুঝানোর চেষ্টা করলাম। একজনকে মেসেনজারে একটা ভিডিও দিয়েছিলাম যেটায় বুঝানো হয়েছিলো ইসলাম ই একমাত্র সত্য ধর্ম। এর পর থেকে সে আর আমার সাথে কথা বলে না দেখাও করে নি।
আরেকজন তার সাথে আমার এখনও যোগাযোগ আছে এবং সে আমাকে বেশ ভালো বান্ধবী মনে হয়। কিন্তু আমি শুধু দাওয়ার স্বার্থেই তার সাথে মিশি। তবে আমি মন থেকে চাই সে হিদায়াত পাক তাকে আমি যথেষ্ট ভালোবাসি। কিন্তু সে বেশ রাগি আরেক বান্ধবী কে ভিডিও দেওয়ার সময় আমি তার সাথেও কথা উঠিয়েছিলাম কিন্তু সে সাফ মানা করেছে ধর্ম নিয়ে যাতে কিছু না বলি।
তাই আর সরাসরি কিছু বলতে যাই না মিশি এই ভেবে যদি আমার কথায় বা কোনো কাজে বা কোনো ফেসবুক পোস্ট এ তার ভালো লেগে যায়,,আর অনেক অনেক দু'আ করি।
সে একটু আকটু বই পড়ে একবার সে আরিফ আজাদের কথা বলছিলো এত ফেমাস রাইটার এই সেই এই সুযোগে আমি তাকে প্যারাডক্সিকাল সাজিদ,বেলা ফুরাবার বই গুলো উপহার দিই,,,,,
আমার পন্থা কি সঠিক?
আমার শুধু ভয় লাগে আমি তো সরাসরি দাওয়াহ দিতে পারি নি বা পারছি না এতে কি আল্লাহ আমাকে পাকড়াও করবেন কখনো?
সরাসরি বলতে ভয় ও লাগে আবার মনে হয় ভুল কিছু না বলে ফেলি। বা যেহেতু না করেছে আমি বলতে গিয়েছি,,,,
অমুসলিমদের সরাসরি না দাওয়াত দেওয়া কি অনেকক বড় গুনাহ?
২।আমার একজন বান্ধবী আছে সে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তার ও হিন্দু বান্ধবী আছে। কিন্তু সে মুসলিমদের কে দাওয়াত দিতে গিয়েই বিপাকে পড়ে তাকে শিবির আক্ষা দেওয়া হয়,,,,
সে জায়গায় হিন্দু দের কে দাওয়াত দিতে সে ভয় পায়।
যদি সে দাওয়াত না দেয় সে কি অনেক বড় গুনাহ করবে?
এটা কি গুনাহ এ কবিরা হবে?
দাওয়াত দেওয়া ফরজে কিফায়া নাকি একদম নামাজ, রেজার মত ফরজ? একটু জানতে চাই।
জাঝাকাল্লাহু খাইর।