ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
(১)
বিষয়টা অত্যান্ত সংক্ষিপ্ত। সুতরাং কমেন্টে বিস্তারিত বলবেন।
(২)
উশর প্রসঙ্গ।
জমিন থেকে যা কিছু উৎপাদিত হয়।চায় একসের হোক, ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর মতানুসারে তাতে উশুর অর্থ্যাৎ দশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।
অর্থ্যাৎ দশ ভাগের একভাগ আল্লাহর রাস্তায় দেওয়া ফরয।
বৎসরে যতবার-ই ফসল উৎপাদিত তাতে উশুর আসবে।যদি প্রাকৃতিক পানি দিয়ে চাষ করা হয়, তাহলে এ হুকুম।
কিন্তু যদি মেশিনেরর পানি দিয়ে জমি চাষ করা হয় তাহলে নিসফে উশর অর্থ্যাৎ বিশ ভাগের এক ভাগ ফরয হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/6219
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি ফসলের উশর আদায় না করে, তাহলে এজন্য পুরো ফসলকে ভোগ করা হারাম হবে না। জমিতে ফসল এক কেজি হলেও তার দশ ভাগের এক ভাগ উশর দিতে হবে। ফসলের নিসাব পুর্ণ হওয়া লাগবে না।
(৩)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সোনা, রূপা,টাকা,এবং ব্যবসায়িক মালে যাকাত আসে, যদি তা নেসাব পরিমাণ হয়।
স্বর্ণের নেসাবঃ৭.৫ ভড়ি।
রূপার নেসাবঃ৫২.৫ ভড়ি।
এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কারো কাছে শুধুমাত্র স্বর্ণ বা শুধুমাত্র রূপা থাকলে সেটার নেসাব পূর্ণ হলেই যাকাত আসবে, অন্যথায় যাকাত আসবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো কাছে শুধু সোনা এক বছর জমা থাকে, রুপা বা টাকা এক বছর না থাকে,এবং সোনা ৭.৫ ভড়ির চেয়ে কম হয়, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে না।