ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
ক) যোহর এর ফরজ ৪ রাকাত পড়ার পরে বাচ্চা উঠে কান্নাকাটি শুরু করলে পরবর্তীতে সুযোগ করে সুন্নতে মু'আক্কাদা ৪+২ রাকাত কাযা আদায় করতে হবে।
খ) যতই সমস্যা হোক, নামাযকে তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে পড়বেন।
(২) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেহরি খেতে পারবেন।আপনার মহল্লার মসজিদের মাইকের ঘোষণার সাথে সেহরি ইফতার করবেন।এটাই সবচেয়ে বেশী নিরাপদ।
(৩)আহলে হাদিস তারা কোনো ইমামের অনুসরণ করেননা। তাদের মতামতকে গ্রহণ করবেন না।তবে তাদের প্রতি বিরূপ ধারণা পোষণ না করাই উচিত।
(৪) তারাবিহ ৮ রাকাত না বিশ রাকাত? এটা মাযহাব গত বিশ্লেষণ।
(৫) ৪ টা বড় পেয়াজ ধার নিয়ে ৬ টা বড় বা ছোট পেয়াজ দেয়াতে সুদ হবে না। তবে শর্তারোপ করলে সুদ হবে ।
(৬)
ক)
যদি মনে হয় বায়ু ভিতরে মুভ করছে, উপরের দিক থেকে নিচের দিকে যাচ্ছে, তাহলে এতে অজু ভঙ্গ হবে না।
খ) বায়ূ সম্পর্কে নিশ্চিত না হলে ধরে নিবেন যে, বায়ূ বের হয়নি।
(৭)আসরের ৪ রাকাত ফরয নামাজ পড়ার পরে যে কোনো কাজা নামাজ পড়া যাবে।
(৮)
ক)
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনি মা'যুর। সুতরাং ঐ ওয়াক্তের ভিতর যত সম্ভব এক অজু দ্বারা নামায পড়ে নিবেন।এক্ষেত্রে সাদাস্রাব বের হলেও কোনো সমস্যা হবে না।
খ) এরকম অবস্থায় সাদা স্রাব নিয়ে অন্য কাজা নামাজ আদায় করা যাবে।
(৯)
বায়ু নির্গমন এর প্রবনতা বেশি হলে, সারা ওয়াক্ত জুরেই বায়ূ বের হতে থাকলে, তখন আপনি মা'যুর হিসেবে পরিগণিত হবেন। এক ওয়াক্তের ভিতর এক অজু দ্বারা যত সম্ভব নামায পড়ে নিতে পারবেন।
(১০) ভালোভাবে না শিখে অন্যকে শিখানো উচিৎ না।কেননা এক্ষেত্রে অন্যকে ভূল শিখানো হবে। আপনি শিখাতে পারবেন কি না? সেটা ঐ উস্তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে , যিনি আপনাকে শিখিয়েছেন।