ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনাদের প্রত্যেকের ৪/৫ ভরি করে সোনা রয়েছে, তবে কারো নেসাব পরিমাণ স্বরণ নাই। এখন যদি আপনাদের নিকট বৎসরের শুরু বা শেষে টাকা না থাকে, তাহলে আপনাদের উপর যাকাত ফরয হবে না।
(২) জায়গা জমি যদি ব্যবস্যার উদ্দেশ্যে ক্রয় করা না হয়ে থাকে, তাহলে তাতে যাকাত আসবে না।
(৩) ব্যাংকের ডিপোজিটে মূলধন তো জায়েয। তবে অতিরিক্ত যা কিছু মুনাফা আসবে, সেগুলো সুদ,সদকাহ করতে হবে। ব্যাংকে ডিপোজিটের ঐ টাকা যেদিন থেকে নেসাব পরিমাণ হয়েছে, সেদিন থেকে এই অব্দি ঐ টাকার যাকাত দিতে হবে।
(৪)
(ক) এটা জায়েয হয়নি। তবে পরবর্তীতে যেহেতু বোন জামাইয়ের ঐ টাকা শোধ করা হয়েছে, তাই এখন আর সমস্যা হবে না।
(খ) লোন নিলে তো অবশ্যই গোনাহ হবে।
(গ) রেস্টুরেন্টের উপর যাকাত আসবে না। তবে রেষ্টুরেন্ট থেকে যা লাভ হবে, সেই লাভের টাকা নেসাব পরিমাণ হলে, এবং এক বৎসর মালিকানায় থাকলে যাকাত আসবে।
(ঘ)
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
(৫) রোযা হয়েছে। কোনো সমস্যা হয়নি।
(৬) আবার অজু করে নিবেন। অথবা অঙ্গ শোকানোর পূর্বে নাক কানের ছিদ্রে পানি পৌছিয়ে দিতে পারবেন।