আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ
.

১. অন্যসময় ওয়াশরুমে একটু বেশী সময় কাটানো হয়। মাসনূন ইতেকাফের প্রথম দিন ওয়াশরুমে অভ্যাসবশত প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় কাটানো হয়ে গেছে। (প্রয়োজনের চেয়ে বেশী সময় বলতে, ধীরে সুস্থে ওযু করা বা সবসময়ের মতো ওয়াশরুমে একটু হাটাহাটি করা ;অভ্যাসগত কাজ যেগুলো) মনে পড়ার পর দ্রুত কাজ শেষ করে বের হয়ে যাওয়া হয়। ইতেকাফে সমস্যা হবে?

২. ইতেকাফরত অবস্থায় সাহরীর সামান্য সময় পূর্বে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য বের হয়ে দেখা গেলো অন্য কেউ আছে। সে বের হওয়ার পর আমি যাব এটা ভেবে ভুলক্রমে বাথরুম যে রুমে সেখানের খাটে বসে পড়ার পর হঠাৎ মনে হওয়ার ইতেকাফের কক্ষে চলে যাওয়া হয়। ইতেকাফ কি ফাসিদ হয়ে যাবে?

ফাসিদ হয়ে গেলে করণীয় কি? ইতেকাফ ছেড়ে উঠে যাব? নাকি নতুন করে নিয়ত করবো?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ইতিকাফরত অবস্থায় ভুলেও এক মুহূর্তের জন্য মসজিদের সীমানার বাহিরে চলে গেল বা ইতিকাফ স্থলের সীমানার বাহিরে চলে গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। পরবর্তীতে রোযা সহ একদিন এক রাতের কাযা আদায় করতে হবে।

( فلو خرج ) ولو ناسيا ( ساعة ) زمانية لا رملية كما مر ( بلا عذر فسد ) (الدر المختار مع رد المحتار ۲/٤٤۷, الفتاوى الهندية ۱/۲۱۲)(احسن فتاوی ،ص٤٤۷،ج ٤)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মাসনূন ইতেকাফের ধীরে সুস্থে ওযু করা বা সবসময়ের মতো ওয়াশরুমে একটু হাটাহাটি করা, যা তার অভ্যাসগত কাজ, পরবর্তীতে মনে পড়ার সাথে সাথেই অতিদ্রুত দ্রুত কাজ শেষ করে বের হয়ে গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না। 

(২) ইতেকাফরত অবস্থায় ভুলক্রমে বাথরুম যে রুমে সেখানের খাটে বসে পড়ার দ্বারা ইতেকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে।

ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে গেলে, রোযাসহ এক দিন এক রাত ইতিকাফ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ 

ইতেকাফের কাজা কি রমাদনের মধ্যে করা যাবে?  নাকি রমাদনের পর করতে হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...