আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ আমি একটা বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু আমি যে বিষয়ে লিখেছি তাতে হয়তো ভালোভাবে সব বুঝাতে পারি নি যা দিয়ে আপনারা সঠিক উত্তর আমাকে দিতে পারবেন। তাই পরে কমেন্ট এ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছি, কিন্তু উত্তর আসছে না অথচ আমার এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান দরকার। তাই আরেকবার প্রশ্ন করছি।
https://ifatwa.info/94850/?show=94947#a94947
এই লিংকে আমি আমার হাজবেন্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করেছি, আপনারা বলেছেন তিনি ঠিক পথেই আছেন। তাহলে আমি কি ভুল অবস্থায় আছি? ভুল হলে আমি নিজেকে ঠিক করতে চাই।আমার হাজবেন্ডের আরো কিছু ব্যাপার আমি লিখছি, সব সুন্দর ভাবে পড়ে আমাকে সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ। আমি প্রচুর মানসিক কষ্টে আছি। আমার হাজবেন্ড আপনারা তার ব্যাপারে কি মতামত দেন তা শুনতে অপেক্ষায় আছেন।
আমার হাজবেন্ড সম্পর্কে আরো কিছু কথা নিম্নরূপ:
উস্তাদ ঘৃণা প্রকাশ করবে ঠিক আছে কিন্তু আমার হাজবেন্ড এমনিতে বাইরে বের হলে সবাইকে সালাম দেয় কিন্তু এখন ঠিক করেছেন বেছে বেছে সালাম দিবেন, লেবাসধারী মুসলমানদের সালাম দিবে না। এমনকি নামাজ পড়েও মানুষ খারাপ কাজ করে তাই আমার হাজবেন্ডের নাকি জামায়াতে নামাজ পড়তে ইচ্ছা হয় না।তিনি মসজিদ যেতে আগ্রহ পান না। এমনভাবে সারাদিন লেবাসধারী মুসলমানদের নিয়ে পড়ে থেকে মাথা হ্যাং করে নিজের আমল ইবাদাতের ক্ষতি করেন। উস্তাদ প্রতিবাদ তো করতে হবে কিন্তু নিজের আমল ইবাদাতের উপর প্রভাব পড়তে দিবে কেনো? আল্লাহ তা'য়ালা তো বলেছেন প্রত্যেক কে তার নিজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
উস্তাদ এসব লেবাসধারী মুসলমানদের উপর তো শুধু রাগ হয়ে ঘৃণা প্রকাশ করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না, তাদের দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে আমাদের। হাজবেন্ডকে যদি বলি শুধু রাগ না হয়ে এদের দ্বীনের দাওয়াত দেন, তিনি বলেন এরা শুধরাবে না, তিনি ইচ্ছুক নয় এদের দাওয়াত দিতে । এমনকি এ দেশ ছেড়েও চলে যেতে চান যেনো এদের দেখতে না হয়।প্রয়োজনে অমুসলিম দেশে গিয়ে থাকবে। তার মতে এসব লেবাসধারী মুসলমানদের থেকে কিছু অমুসলিম শান্তি প্রিয় দেশ আছে সেখানকার অমুসলিমরাও ভালো।
আমি হাজবেন্ড কে বলেছি আপনি তো চান আমাদের সন্তানরা দ্বীনের দায়ী হোক, কিন্তু আপনার এসব ব্যাপার তাদের মধ্যে গেলে তারাও তো আপনার মতো ঘৃণা করে দাওয়াতী কাজ করতে পারবে না ঠিক মতো। আমার হাজবেন্ড বলেন তারা বেছে বেছে দাওয়াত দিবে। আমি বলি যারা খারাপ তাদেরকেই তো বেশি দাওয়াত দিতে হবে, এভাবে শুধু ঘৃণা করে মানুষগুলোকে আমরা জাহান্নামের পথে ছেড়ে দিচ্ছি, উনি বুঝতে চায় না। তার মতে তিনি ঠিক পথেই আছেন।
আর লিংকে দেয়া আগের প্রশ্নে আমি বলেছিলাম লেবাসধারী আলেমদের আমার হাজবেন্ড অবজ্ঞা করে কথা বলে, এরকম করা যাবে? এসব আলেম, মুসলিমদের উপর তিনি সাধারণভাবে ঘৃণা প্রকাশ করেন না বরং প্রচন্ড অবজ্ঞা, কটুক্তি করে কথা বলেন, কখনো মুসলিম শব্দকেও ব্যবহার করতে আপত্তি করে বসেন রেগে।
আমার হাজবেন্ড এমনি মাশা আল্লাহ অনেক ভালো হলেও এই একটা দিক নিয়ে আমি চিন্তিত কারণ আমি আমার সন্তানদের বড় আলেম, দ্বীনের দায়ী বানাতে চাই। কিন্তু সন্তানরা আমার হাজবেন্ডের এ ব্যাপারগুলো ধারণ করে যদি মুসলিমদের উপর রেগে দাওয়াতি কাজ সরে থাকে তাই ভয় পাই।
বি.দ্র. আমার হাজবেন্ড জেনারেল থেকে পড়াশোনা করেছেন, বয়স ২৭+, তার মন প্রচুর সরল, আল্লাহ তা'য়ালা ঘৃনা প্রকাশ করতে বলেছেন এটা মাথায় রেখে তিনি এভাবে ঘৃণা প্রকাশ করেন।