আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in ওয়াসওয়াসা by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম, উস্তাদ আমি একটা বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম, কিন্তু আমি যে বিষয়ে লিখেছি তাতে হয়তো ভালোভাবে সব বুঝাতে পারি নি যা দিয়ে আপনারা সঠিক উত্তর আমাকে দিতে পারবেন। তাই পরে কমেন্ট এ আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছি, কিন্তু উত্তর আসছে না অথচ আমার এ ব্যাপারে দ্রুত সমাধান দরকার। তাই আরেকবার প্রশ্ন করছি।


https://ifatwa.info/94850/?show=94947#a94947

এই লিংকে আমি আমার হাজবেন্ড সম্পর্কে প্রশ্ন করেছি, আপনারা বলেছেন তিনি ঠিক পথেই আছেন। তাহলে আমি কি ভুল অবস্থায় আছি? ভুল হলে আমি নিজেকে ঠিক করতে চাই।আমার হাজবেন্ডের আরো কিছু ব্যাপার আমি লিখছি, সব সুন্দর ভাবে পড়ে আমাকে সঠিক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ। আমি প্রচুর মানসিক কষ্টে আছি। আমার হাজবেন্ড আপনারা তার ব্যাপারে কি মতামত দেন তা শুনতে অপেক্ষায় আছেন।

আমার হাজবেন্ড সম্পর্কে আরো কিছু কথা নিম্নরূপ:

উস্তাদ ঘৃণা প্রকাশ করবে ঠিক আছে কিন্তু আমার হাজবেন্ড এমনিতে বাইরে বের হলে সবাইকে সালাম দেয় কিন্তু এখন ঠিক করেছেন বেছে বেছে সালাম দিবেন, লেবাসধারী মুসলমানদের সালাম দিবে না। এমনকি নামাজ পড়েও মানুষ খারাপ কাজ করে তাই আমার হাজবেন্ডের নাকি জামায়াতে নামাজ পড়তে ইচ্ছা হয় না।তিনি মসজিদ যেতে আগ্রহ পান না। এমনভাবে সারাদিন লেবাসধারী মুসলমানদের নিয়ে পড়ে থেকে মাথা হ্যাং করে নিজের আমল ইবাদাতের ক্ষতি করেন। উস্তাদ প্রতিবাদ তো করতে হবে কিন্তু নিজের আমল ইবাদাতের উপর প্রভাব পড়তে দিবে কেনো? আল্লাহ তা'য়ালা তো বলেছেন প্রত্যেক কে তার নিজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।
উস্তাদ এসব লেবাসধারী মুসলমানদের উপর তো শুধু রাগ হয়ে ঘৃণা প্রকাশ করলেই দায়িত্ব শেষ হবে না, তাদের দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে আমাদের। হাজবেন্ডকে যদি বলি শুধু রাগ না হয়ে এদের দ্বীনের দাওয়াত দেন, তিনি বলেন এরা শুধরাবে না, তিনি ইচ্ছুক নয় এদের দাওয়াত দিতে । এমনকি এ দেশ ছেড়েও চলে যেতে চান যেনো এদের দেখতে না হয়।প্রয়োজনে অমুসলিম দেশে গিয়ে থাকবে। তার মতে এসব লেবাসধারী মুসলমানদের থেকে কিছু অমুসলিম শান্তি প্রিয় দেশ আছে সেখানকার অমুসলিমরাও ভালো।
আমি হাজবেন্ড কে বলেছি আপনি তো চান আমাদের সন্তানরা দ্বীনের দায়ী হোক, কিন্তু আপনার এসব ব্যাপার তাদের মধ্যে গেলে তারাও তো আপনার মতো  ঘৃণা করে দাওয়াতী কাজ করতে পারবে না ঠিক মতো। আমার হাজবেন্ড বলেন তারা বেছে বেছে দাওয়াত দিবে। আমি বলি যারা খারাপ তাদেরকেই তো বেশি দাওয়াত দিতে হবে, এভাবে শুধু ঘৃণা করে মানুষগুলোকে আমরা জাহান্নামের পথে ছেড়ে দিচ্ছি, উনি বুঝতে চায় না। তার মতে তিনি ঠিক পথেই আছেন।
আর লিংকে দেয়া আগের প্রশ্নে আমি বলেছিলাম লেবাসধারী আলেমদের আমার হাজবেন্ড অবজ্ঞা করে কথা বলে, এরকম করা যাবে? এসব আলেম, মুসলিমদের উপর তিনি সাধারণভাবে ঘৃণা প্রকাশ করেন না বরং প্রচন্ড অবজ্ঞা, কটুক্তি করে কথা বলেন, কখনো মুসলিম শব্দকেও ব্যবহার করতে আপত্তি করে বসেন রেগে।

আমার হাজবেন্ড এমনি মাশা আল্লাহ অনেক ভালো হলেও এই একটা দিক নিয়ে আমি চিন্তিত কারণ আমি আমার সন্তানদের বড় আলেম, দ্বীনের দায়ী বানাতে চাই। কিন্তু সন্তানরা আমার হাজবেন্ডের এ ব্যাপারগুলো ধারণ করে যদি মুসলিমদের উপর রেগে দাওয়াতি কাজ সরে থাকে তাই ভয় পাই।

বি.দ্র. আমার হাজবেন্ড জেনারেল থেকে পড়াশোনা করেছেন, বয়স ২৭+, তার মন প্রচুর সরল, আল্লাহ তা'য়ালা ঘৃনা প্রকাশ করতে বলেছেন এটা মাথায় রেখে তিনি এভাবে ঘৃণা প্রকাশ করেন।

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আমাদের মনে রাখতে হবে, পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না। আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার স্বামীর চিন্তাভাবনাতে সামান্য পরিবর্তন নিয়ে আসা উচিৎ।  আমাদের সবার উচিৎ, পাপকে ঘৃনা করা পাপীকে নয়। এক লেবাসধারী মুসলমানকে হেদায়তের পথে নিয়ে আসা একটি লাল উট আল্লাহর রাস্তায় সদকাহ করার চেয়েও উত্তম। তাই দাওয়াতের কাজে মনোনিবেশন করবেন। জাযাকুমুল্লাহ। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَأَنْ يَهْدِيَ اللَّهُ بِكَ رَجُلًا وَاحِدًا خَيْرٌ لَكَ مِنْ أَنْ يَكُونَ لَكَ حُمْرُ النَّعَمِ
“তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ একজন লোককেও হেদায়েত দেন তবে তা তোমার জন্য একটি লাল উট পাওয়া থেকেও উত্তম।” (বুখারী ১২/৩৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/31389

আপনার স্বামীকে তাবলীগে এক চিল্লায় পাঠাবেন। তাহলে তিনি দেখে আসবেন, ঐ সমস্ত লোকদের যাদের কথা এবং কাজে প্রায় মিল রয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...