ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) আপনার বাবা তাদেরকে খুব বেশি
কিছু দেন না, এজন্য তারা আপনার বাবাকে তেমন সম্মান করে না। এখানে আপনার
বাবার কোনো দোষ নাই। আপনার বাবার উপর তাদের আর্থিক কোনো অধিকার নাই। আপনার বাবার
সামর্থ্য থাকলে তিনি দিতে পারেন। আবার নাও দিতে পারেন। হ্যা,
তারা যাই করুক,
আপনার বাবার
উচিৎ, তাদের সাথে সর্বদা সদ্ব্যবহার করা।
(২)মেয়েদের মধ্যে চোখে পড়ার মত
বৈষম্য করা কখনো উচিৎ হবে না। আপনারা তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। এবং তাদের সাথে
সর্বদা সদ্ব্যবহার করবেন।
(৩) বিবাহিত মেয়ের নিজস্ব সম্পদ
থাকলে অন্যদিকে বাবা-মা গরীব হলে তখন মেয়ের দায়িত্ব হচ্ছে,
বাবা মায়ের
ভরণপোষণ করা। নানা নানুর কাছ থেকে কোনো কিছু পাওয়ার আশা না করাই ভালো। হ্যা,
নাতি নাতনি
গরীব হলে এবং নানা নানী সামর্থ্যবান হলে তখন নাতি নাতনিকে দেখভাল করা নানা নানীর
দায়িত্ব ও কর্তব্য।
(৪) আপনারা নানা বাড়ীতে যাবেন,
তাদের সাথে
দেখা সাক্ষাৎ করবেন, তাদের ওখানে বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী না খাওয়াই উত্তম।
(৫)
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن
ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم " ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ
ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ "
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন
মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল
তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।(তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)এ সম্পর্কে
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 3747
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী
ভাই/বোন!
নানা বাড়ী থেকে ইফতারির আশা না করাই
ভালো। আপনারা যা দিবেন, তার সওয়াব পাবেন। নানা নানীকে ইফতারির জন্য চাপ প্রয়োগ করা
হারাম ও নাজায়েয হবে। কেননা কারো অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতিত তার মাল আপনার জন্য
হালাল হবে ন।
(৬) বদ দু’আ দিবেন না। বরং তাদের
হেদায়তের জন্য দু’আ করবেন।
(৭) চাচীর ভাই ৪ বোনকে পাঁচ হাজার করে দশ হাজার
দিলে, আপনাদের দুই বোনকে তো দশ হাজার করে বিশ হাজার দেয়া উচিৎ,
এমনটা বলা
জায়েয হবে না।
(৮) এই সব চিন্তাভাবনা পরিত্যাগ
করুন। কি পেলাম আর কি পেলাম না!! এসব চিন্তাভাবনা পরিহার করে বরং নানা নানীকে আপন
মনে মহব্বত করুন। মনে রাখবেন, তারা যদি আল্লাহর হুকুমে আপনার মাকে শিষ্টাচার শিক্ষা না
দিতেন, তাহলে আপনারা আজ এই জায়গায় হতেন না।