আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
edited by
আমার হায়েজের দিনে শুধু হলুদ স্রাব যায়।১০দিন পর ইস্তেহাযা হয়।তখন ব্লিডিং হয় এমনেতে ব্লিডিং হয়না।আর পূর্বের মাসে হায়েজ হয়েছিল ২৭তারিখ ফেব্রুয়ারিতে, রাতে। এইটা হয়তো ১০দিন অর্থাৎ ৮তারিখ মার্চ পর্যন্ত  স্থায়ী হয়েছিল।এরপর দিনই ব্লিডিং হয় যেটাকে আমি ইস্তেহাযা ই ধরেছিলাম।

সেই অনুযায়ী এই মাসে আমার হায়েজ হয়েছে ২৪ তাং,মার্চ, ফজর ৪টা ৫০মিনিটের পর।(হলুদ স্রাব ই গিয়েছে)..এরপর ২৮তাং,মার্চ জোহর ওয়াক্ত ১.৩০টায় (টাইম বেশ কম হতে পার) আবার সাদা স্রাব দেখি।পরে অপেক্ষা করি আছর ওয়াক্তের আগে পরে হয়তো ৪.২০ এর পর বা আগে আবার সাদাস্রাব নাকি হলুদ স্রাব সন্দেহ হচ্ছিলো এরপর আমি ফরজ গোসল করে ফেলি।আবার ৬টার আগে দেখি হলুদ স্রাব।তাই আর সলাত আদায় করিনি।এভাবে কয়েকদিন যায়।এরপর ৩১তারিখ ৪টা ১৪মিনিটের আগে দেখি সাদা স্রাব।তাই আবার ফরজ গোসল করে সলাত আদায় করি। এরপর ৬টায় সম্ভবত আবার দেখি হলুদ স্রাব।তাই সলাত অফ করে দেই।আবার আজ রাত ১টা ১৫মিনিটের আগে দেখি সাদা স্রাব তাই আবার ফরজ গোসল করে সলাত আদায় শুরু করি।

আমার প্রশ্ন,

ক) এইখানে একদম প্রথমদিকে অর্থাৎ ২৪তারিখ-২৮তারিখ আমার হায়েজ হয় এরপরের গুলো তিনদিনের কম হয়েছে।তাহলে এইটাকে কি হায়েজ ধরব নাকি ইস্তেহাযা?আর এভাবে তিনদিন স্থায়ী হয়নি তাও ফরজ গোসল করেছি এইটা কি না করলেও চলতো যেহেতু ২৮তারিখে আমি একবার ফরজ গোসল করেছিলাম।আবার আজ আছর ওয়াক্তে ফরজ গোসল করি,এরপর যে হলুদ স্রাব হয়ে আবার সাদা স্রাব গেলো তাতে কি ফরজ গোসল করার প্রয়োজন ছিল?

খ) আর এভাবেই হয়তো আমার চলতে থাকবে।হলুদ স্রাব যাবে এরপর সাদা স্রাব যাবে এরপর হায়েজের টাইম শেষ হলেই ইস্তেহাযা হবে।এখন এভাবেই চলতে থাকলে আমি কি আমার হায়েজের পর যে পবিত্রতা ১৫দিন ধরতে হয় সেটা ২৮তারিখের পর থেকে কাউন্ট করব?

গ)ধরলাম ২৮তারিখ কাউন্ট করব।আর ২৮তারিখ কাউন্ট হিসেবে সেদিনই আমার সাদাস্রাব দেখা গিয়েছিল জোহর ওয়াক্তে তাহলে ১৫দিন পর অর্থাৎ ১২তারিখ জোহর ওয়াক্তে হলুদ স্রাব গেলে কি আমি সেটাকে হায়েজ ধরব?


ঘ)আমার সন্দেহ হচ্ছে হয়তো প্রথমদিকেও অর্থাৎ ২৪তাং-২৮তাং এও যে আমি হায়েজ ধরছি হয়তো তখনো আমার হায়েজ যায়নি কারণ আমি তিনদিন কাউন্ট করলে ২৮তারিখ ফজরেই লাস্ট টাইম ছিল তিনদিন হওয়ার তখন চেক করিনাই।চেক করলে হয়তো সাদাই বের হতো।এইভাবে বলার কারণ হচ্ছে পরবর্তী দিনগুলোতে আমার হায়েজ তিনদিন ও স্থায়ী হয়নি যেমনটা উপরে ব্যক্ত করেছি।এইক্ষেত্রে একে কি আমি ইস্তেহাযা ধরব নাকি হায়েজই?

আফওয়ান এভাবে কুয়েশ্চন করার জন্য। এভাবে না করলে আমি বুঝতে সক্ষম হব না।আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদাম দান করুন।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ أَنَّهَا أَمَرَتْ أَسْمَاءَ - أَوْ أَسْمَاءُ حَدَّثَتْنِي أَنَّهَا أَمَرَتْهَا فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ - أَنْ تَسْأَلَ، رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَهَا أَنْ تَقْعُدَ الأَيَّامَ الَّتِي كَانَتْ تَقْعُدُ ثُمَّ تَغْتَسِلُ - صحيح 

উরওয়াহ ইবনু যুবাইর (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ (রাঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি আসমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন অথবা আসমা-ই আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করার জন্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নির্দেশ দিলেন যে, (পূর্বের হিসেব মতো) হায়িযের দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে, তারপর নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হলে গোসল করবে।
(আবু দাউদ ২৮১ নাসায়ী ২০১)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(ক)
প্রশ্নের বিবরন মতে মার্চ এর ২৪ তারিখ থেকে আপনার হায়েজ শুরু হয়েছে।
এরপর ৮ম দিনে তথা ৩১তারিখ সন্ধায় আবারো হলুদ স্রাব দেখেছেন,এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।

দশদিনের আগেই বন্ধ হলে পুরোটাই হায়েজ বলে গন্য হবে।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে পূর্বের মাসের অভ্যাস এর দিনের পর দিন থেকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।
আরো জানুনঃ 

(খ)
পূর্বের মাস গুলোর অভ্যাস এর দিনের পর দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।
এরপর আবারো হায়েজ আসলে হায়েজ ধরবেন।
এবং চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।

(গ)
আপনার হায়েজ কবে বন্ধ হয়েছে,এটা আগে নির্ণয় করতে হবে।
পূর্বের মাস গুলোর অভ্যাস এর দিন হিসেবে হায়েজ ধরবেন।এর পর দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।

(ঘ)
গ নং জবাব দ্রষ্টব্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
ক নং প্রশ্নে, আমার এখন এমনই হচ্ছে যে সাদা স্রাব যায় আবার হলুদ স্রাব যায়। এইক্ষেত্রে সাদা স্রাব গেলে তখন কি করব।এভাবে একটু পর পর দেখা যাবে আমার সাদা স্রাব ও যাচ্ছে আবার হলুদ ও। এক্ষেত্রে সবসময় ফরজ গোসল করতে হবে?

আর ঘ নং প্রশ্নে আমার প্রবল ধারণা হচ্ছে আমার এখনো হায়েজ হয়নি ইস্তেহাযা হয়েছে।

আমি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করেছিলাম আগে যখন সমস্যা হয়েছিল তখন উনারা বলেছেন এইটা হায়েজ না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...