আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
45 views
in পবিত্রতা (Purity) by (3 points)

ইমারজেন্সি জানার ছিল।খুব কনফিউশন হচ্ছে।

হায়েজের ৩ দিন ৩ রাত কি এভাবে ধরে যে, ১ম দিন রক্ত দেখার সময় থেকে ১০ দিনের ভিতরে মোট মিলিয়ে ৩ দিন সামান্য করে রক্ত দেখলেও হায়েজ।নাকি এক নাগারে তিন দিন রক্ত দেখতে হবে? 

আমার ১৩ই মার্চ সন্ধ্যার সময় মানে ৩ রোজার শুরুতে সামান্য লালচে দেখা যায়।এরপর ১৫ তারিখ সন্ধ্যার শুরুতে আবার হালকা একটু দেখা যায়।এর মধ্যকালিন সময় এবং এর পরের সময় গুলোতেও স্পষ্ট সাদা স্রাব দেখা যায়।ইস্তেহাযা ভেবে নামাজ -রোজা আদায় করি। এরপর ১৩ তারিখ থেকে ৭/৮ দিনের মাথায়, ২০ তারিখ সেহেরির সময় আবার ব্লিডিং দেখা যায়,১৩/১৫ তারিখ খুবই সামান্য পরিমাণ সাদা স্রাবের সাথে লালচে ছিল।এই বার একটু বেশি।তবে থেমে থেমে একটু একটু।আজকে ২৩ তারিখও এমন।

গত জানুয়ারিতে লাস্ট পিরিয়ড হয়েছিল। তাও সামন্য সামান্য করে ৭/৮ ছিল।(আগে থেকে পিরিয়ড ইরেগুলার, ইস্তেহাযারও হিস্ট্রি আছে)

এখন কি ১৩ তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে হিসাব করবো? তাহলে তো আজ ২৩ তারিখ সন্ধ্যা থেকে নামাজ পড়তে হবে।কিন্তু এখনো পিরিয়ডের ব্লিডিং এর ধরনের মতোই ব্লিডিং হচ্ছে(তবে প্যাড ইউজ করা লাগছে না)।কিন্তু ১৩ তারিখ সামান্য স্রাবের সাথে লালচে ছিল।এরপর আবারও স্পষ্ট সাদা স্রাব। ১৫ তারিখ সামান্য, আবারও স্পষ্ট সাদা স্রাব। 

আমি আজ সন্ধ্যা থেকে নামাজ পড়বো?মাগরিব পড়বো? নাকি ২০ তারিখ ধরে পিরিয়ডের ডেট গণনা করবো?

1 Answer

0 votes
by (684,040 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজের ৩ দিন ৩ রাত এভাবে ধরে যে, ১ম দিন রক্ত দেখার সময় থেকে ১০ দিনের ভিতরে মোট মিলিয়ে ৩ দিন সামান্য করে রক্ত দেখলেও হায়েজ।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি ১৩ তারিখ থেকে হায়েজ ধরবেন। 

আজ সন্ধ্যা হতে নামাজ আদায় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...