নামাজ ভাঙ্গা বিষয়ক

Question

১.নামাজের ২য় রাকাতে সূরা ইয়াসীনের ১০নং আয়াত দিয়ে পড়া শুরু করার কিছুক্ষণ পর যদি বুঝতে পারি ১০ নং এর পর আবারও ৮ম আয়াত থেকে পড়া শুরু করেছিলাম।  এবং এভাবে আবারও ৮-১৩/১৪ আয়াত পর্যন্ত পড়ে নামাজ শেষ করি তাহলে কি নামাজ আাদায় হয়েছে?
২. নামাজে মুশাববার আয়াতে যদি এক সূরার কয়েকটা শব্দ অন্য সূরায় পড়ে ফেলি এবং পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পেরে সঠিক শব্দ দিয়ে আয়াত শেষ করি তাহলে কি নামাজ আদায় হবে?
৩. নামাজে মাখরাজে কিরকম ভুল হলে নামাজ ছুটে যায়?

৪. আমার বাসা এবং হোস্টেল সফর দূরত্বে অবস্থিত। এখন বাসা থেকে হোস্টেলে গেলে কি মুসাফিরের নামাজ পড়া যাবে?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার নামাজ আদায় হয়েছে। 

(০২)

নামাজের মধ্যে কিরা'আতে কোনো ভুল হওয়ার পর সেটি শুধরিয়ে নেওয়ার দ্বারা সেই ভুল আর কোনো ক্রিয়া করবেনা।

নামাজ হয়ে যাবে।

(ফাতাওয়ায়ে হক্কানীয়া ৩/১৭৮)

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৭২ তে আছেঃ

لو قرأ في الصلاة بخطأ فاحش ثم رجع وقرأ صحيحا قال عندي صلاته جائزة

সারমর্মঃ 

কেহ যদি নামাজে স্পষ্ট ভুল পড়ার পর তাহা শুধরিয়ে নেয়,তাহলে নামাজ হয়ে যাবে।

★প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে নামাজ আদায় হয়ে যাবে। 

(০৩)

লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا

কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-

زينوا القرآن بأصواتكم

সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://ifatwa.info/4874/

যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময় অর্থ বিগড়ে গেলে সকলের মতেই  নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

তবে নিকটতম মাখরাজ বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন ছাড় দিয়েছেন।

উনারা বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।

তবে অনেকেই বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো  অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।  

আরো জানুনঃ-  

https://ifatwa.info/34329/

(০৪)

এক্ষেত্রে হোস্টেলে গিয়ে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেখানে কসরের নামাজ আদায় করবেন।

Comments

জাযাকাল্লাহা খয়রন ওয়া আহসানুল জাযা