জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
,
(০১)
ইমাম বুখারী রহঃ লিখিত উক্ত হাদীস গুলোর আরবীতে তথা মূল হাদীসে নুরে মুজাসসাম লেখা নেই।
এটি যেই ব্যাক্তি যিনি এটার অর্থ লিখেছে,তার পক্ষ থেকে হাদীসের উপর অতিরিক্ত করা হয়েছে।
তিনি নিজ মতাদর্শ ছড়ানোর জন্য এহেন কাজ করেছেন।
,
যেকোনো আরবীর অর্থ করতে পারে,এমন ব্যাক্তত কাছে গেলেই এই ভুল ধরিয়ে দিবে।
,
তাই অর্থ লেখকের উক্ত কথার দ্বারা কোনক ভাবেই নুরে মুজাসসাম তথা রাসুল সাঃ নূর থেকে তৈরী প্রমানীত হয়না।
,
(০২)
হাদীসে উল্লেখিত দাওয়াত শিশুর জন্ম গ্রহন উপলক্ষে দাওয়াত ছিলো।
যেটি জন্ম গ্রহনের পরেই ছিলো।
এক বছর বা দুই বছর নয়।
,
আমরাও তো শিশু জন্মের পর লোকদের মিষ্টি খাওয়াই,আকীকার অনুষ্ঠান করে লোকদের খাওয়াই।
,
তবে এটি ঐ কয়দিনই।
,
পরের বছর আর সেই দিন উপলক্ষে কিছুই করিনা,কারন সেটি বিজাতীয় সাংস্কৃতি।
যাহা মুসলমানদের জন্য নাজায়েজ।
কোনক ভাবেই তাহা জায়েজ হতে পাতেনা।
,
সুতরাং এর দ্বারা জন্মবার্ষিকী,জন্মদিন পালনের উপর কোনো ভাবেই দলিল দেওয়া যাবেনা।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
নিন্মে উক্ত হাদীস গুলো এবং হাদীস গুলোর সঠিক অর্থ ও হাদীসের হুকুম উল্লেখ করছিঃ
আল আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থের ১২৬৫ নং হাদীসে এসেছেঃ
بَابُ الدَّعْوَةِ فِي الْوِلادَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعُمَرِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ كَعْبٍ الْعَكِّيِّ قَالَ: زُرْنَا يَحْيَى بْنَ حَسَّانَ فِي قَرْيَتِهِ، أَنَا وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ أَدْهَمَ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ قَرِيرٍ، وَمُوسَى بْنُ يَسَارٍ، فَجَاءَنَا بِطَعَامٍ، فَأَمْسَكَ مُوسَى، وَكَانَ صَائِمًا، فَقَالَ يَحْيَى: أَمَّنَا فِي هَذَا الْمَسْجِدِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي كِنَانَةَ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُكَنَّى أَبَا قِرْصَافَةَ أَرْبَعِينَ سَنَةً، يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا، فَوُلِدَ لأَبِي غُلاَمٌ، فَدَعَاهُ فِي الْيَوْمِ الَّذِي يَصُومُ فِيهِ فَأَفْطَرَ، فَقَامَ إِبْرَاهِيمُ فَكَنَسَهُ بِكِسَائِهِ، وَأَفْطَرَ مُوسَى قَالَ أَبُو عَبْدِ اللهِ: أَبُو قِرْصَافَةَ اسْمُهُ جَنْدَرَةُ بْنُ خَيْشَنَةَ.
পরিচ্ছেদঃ ৬০২- শিশুর জন্মগ্রহণ উপলক্ষে দাওয়াত।
১২৬৫। বিলাল ইবনে কাব আল-আককী (রহঃ) বলেন আমি, ইবরাহীম ইবনে আদহাম, আবদুল আযীয ইবনে কুদাইদ ও মূসা ইবনে ইয়াসার (রহঃ) ইয়াহইয়া ইবনে হাসান আল-বাকরী আল-ফালাসতিনীর সাথে তার গ্রামে গিয়ে সাক্ষাত করলাম। তিনি আমাদের জন্য খাবার আনলেন। মূসা রোযাদার হওয়ায় আহার গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ইয়াহইয়া বলেন, চল্লিশ বছর যাবত এই মসজিদে কিনানা গোত্রীয় আবু কিরসাফা (রাঃ) ডাকনামের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী আমাদের ইমামতি করেন। তিনি এক দিন রোযা রাখেন এবং এক দিন বিরতি দেন। আমার পিতার একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করলে তিনি তাকে দাওয়াত দেন। সেটি ছিল তার রোযা রাখার দিন। তিনি রোযা ভাংলেন। ইবরাহীম (রহঃ) উঠে দাঁড়িয়ে তাঁকে তার চাদরখানা উপটৌকন দেন এবং মূসাও রোযা ভাংগেন। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, আবু কিরসাফা (রাঃ)-র নাম জানদারা ইবনে খায়শানা।
★ হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
,
আল আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থের ১২৬৭ নং হাদীসে এসেছেঃ
بَابُ الدُّعَاءِ فِي الْوِلادَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا حَزْمٌ قَالَ: سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ قُرَّةَ يَقُولُ: لَمَّا وُلِدَ لِي إِيَاسٌ دَعَوْتُ نَفَرًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَطْعَمْتُهُمْ، فَدَعَوْا، فَقُلْتُ: إِنَّكُمْ قَدْ دَعَوْتُمْ فَبَارَكَ اللَّهُ لَكُمْ فِيمَا دَعَوْتُمْ، وَإِنِّي إِنْ أَدْعُو بِدُعَاءٍ فَأَمِّنُوا، قَالَ: فَدَعَوْتُ لَهُ بِدُعَاءٍ كَثِيرٍ فِي دِينِهِ وَعَقْلِهِ وَكَذَا، قَالَ: فَإِنِّي لَأَتَعَرَّفُ فِيهِ دُعَاءَ يَوْمِئِذٍ.
পরিচ্ছেদঃ ৬০৪- সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর জন্য দোয়া করা।
১২৬৭।
মুআবিয়া ইবনে কুররা (রহঃ) বলেন, আমার সন্তান ইয়াস জন্মগ্রহণ করলে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবীকে দাওয়াত করে আহার করাই। তারা দোয়া করলেন। আমি বললাম, আপনারা দোয়া করেছেন। আল্লাহ আপনাদের দোয়ার উসীলায় আপনাদের বরকত দান করুন। আমিও এখন কতগুলো দোয়া করবো এবং আপনারা আমীন বলবেন। রাবী বলেন, আমি তার দ্বীনদারি, জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে তার জন্য অনেক দোয়া করলাম। রাবী বলেন, আমি সেদিনের দোয়ার প্রভাব লক্ষ্য করছি।
★হাদীসের মান ছহীহ।
,