আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
109 views
in পবিত্রতা (Purity) by (17 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম উস্তাদ,

হায়েয চলাকালীন আমলি সূরা যেমন ওয়াকিয়া, মূলক, হাশরের শেষ তিন আয়াত, শুক্রবারে কাহাফ পড়া,বাকারার শেষ দুই আয়াত, ইয়াসিন ইত্যাদি পড়া যাবে আরবি স্পর্শ না করে?

সাহুরের শেষ সময় যদি ৪:৩৫ হয়। এখন আমি ৪:৩৫ এ পানি খেলাম তাহলে কি রোজা হবে নাকি ৪:৩৪ এর ভিতরেই খাওয়া লাগতো ?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।
তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/389

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)হায়েজের সময় কুরআন স্পর্শ করা ছাড়া কুরআনের সূরা গুলো মুখস্থ পড়া যাবে না। অর্থাৎ হায়েযের সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে না তবে যেই সমস্ত আয়াতে দু'আর অর্থ রয়েছে, সেই সমস্ত আয়াতকে দু'আর নিয়তে পড়া যাবে,যেমন সূরা নাস, সূরা ফালাক,হাশরের শেষ তিন আয়াত,বাকারার শেষ দুই আয়াত,ইত্যাদি। তবে সম্পূর্ণ ওয়াকিয়া, মূলক,   ইয়াসিনকে যেহেতু তিলাওয়াতের জন্যই পড়াই, তাই হায়েয অবস্থায় পড়া যাবে না।

(২)
সাহুরের শেষ সময় যেহেতু ৪:৩৫ মিনিটে, তাই ৪:৩৫ মিনিটের পূর্বেই খানা খাওয়া শেষ করতে হবে।কেউ যদি ৪:৩৫ এ পানি খায়, তাহলে তার রোযায় কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 104 views
0 votes
1 answer 143 views
0 votes
1 answer 101 views
...