বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাজবেন্ডের পছন্দ অনুযায়ী শুধু হাজবেন্ডকে দেখানোর জন্য শুধু ঘরের ভিতর যেকোন পোষাক পড়া যাবে। প্রয়োজনে প্যান্ট শার্ট ও পড়া যাবে।তবে মনে রাখতে হবে, এটা বিকৃত চাহিদা।সুতরাং স্বামীকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বিরত রাখতে হবে।
রূপচর্চা শরীয়তে অনুমোদিত।
আল্লাহ তা'আলা মেয়েদের গুনাগুন ও স্বভাব চরিত সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে বলেন,
أَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَاكُم بِالْبَنِينَ
তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে।
أَوَمَن يُنَشَّأُ فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ
তারা কি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহর জন্যে বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম।(যুখরুফ-১৬-১৭-১৮)
গয়না ব্যতীত রূপচর্চা নিষ্প্রাণ। সুতরাং বুঝা গেল, রূপচর্চা অনুমোদিত।তবে রূপচর্চার ও কিছু সীমা রেখা রয়েছে।যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে রূপচর্চা হয়েছে।মহিলা সাহাবিগণ বৈধতার সীমারেখায় থেকে রূপচর্চা করেছেন।রাসূলুল্লাহ সাঃ নিষেধ করেননি।বুঝাগেল,এতে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর মৌন অনুমোদন ছিল,সে হিসেবে রূপচর্চাকে সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত ধরে নেয়া যাবে।রূপচর্চা সুন্নাহ।তবে শর্ত হল,শরীয়তের সীমারেখার ভিতরে থাকতে হবে।
দেহের কোন অঙ্গের পরিবর্তন না ঘটিয়ে রূপচর্চায় কোন দোষ নেই। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালবাসেন (মুসলিম হা/৯১; মিশকাত হা/৫১০৮)।
রং ফর্সাকারী ক্রীম প্রভৃতি সৃষ্টির স্থায়ী পরিবর্তন ঘটায় না। অতএব এতে বাধা নেই। তবে প্লাস্টিক সার্জারী বা অন্য কোন ঔষধের মাধ্যমে শরীরের রঙে স্থায়ী পরিবর্তন ঘটানো যাবে না (উছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২২/২)।
অনুরূপভাবে ভ্রূ উত্তোলন বা চিকন করা, পরচুলা ব্যবহার করা ও অহংকার প্রকাশের উদ্দেশ্যে রূপচর্চা করা যাবে না (নববী, শরহ মুসলিম ১৩/১০৭)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, যে পরচুলা লাগিয়ে নিল এবং যে লাগিয়ে দিল উভয়ের উপর আল্লাহ তা‘আলার অভিশাপ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৪৩০)।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তা‘আলা লা‘নত করেন এমন সব নারীর উপর যারা অপরের অঙ্গে উল্কি করে এবং নিজের অঙ্গেও করায়, যারা কপাল বা ভ্রূর চুল উপড়িয়ে ফেলে, যারা সৌন্দর্যের জন্য দাঁত সরু ও এর ফাঁক বড় করে এবং যারা আল্লাহর সৃষ্টিকে পাল্টিয়ে দেয়’। এসময় জনৈকা মহিলা ইবনে মাসঊদের নিকট এসে জিজ্ঞেস করল, আমি শুনতে পেলাম আপনি নাকি এরূপ এরূপ নারীদের লা‘নত করেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, ‘আমি কেন তাদের উপর লা‘নত করব না, যাদের উপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) লা‘নত করেছেন? (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ‘পোষাক’ অধ্যায় হা/৪৪৩১)।(সংগৃহিত)