ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ইজিদ এবং ওয়াহাবি সম্প্রদায়ের মধ্যকার কোনো সম্পর্ক নাই। ইজিদের অনুসারী আজকাল রয়েছে কি না? জানিনা।তবে যেই সমস্ত শাসকগোষ্ঠী জুলুম নির্যাতে ব্রতী হয়, তাদেরকেই ইয়াজিদি বলে আখ্যায়িত করা হয়। আব্দুল ওয়াহাব নজদির অনুসরণকারীদের কে ওয়াহাবি বলা হয়।
(২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আখেরাতের নাজাতের জন্য পীরের নিকট মুরিদ হওয়ার বাস্তবে কোনো যৌক্তিকতা নেই। হ্যা, দ্বীন ইসলাম শিখার নিমিত্বে সহীহ আকিদা সম্পন্ন বিদ'আত শিরিকমুক্ত পীর বুজুর্গ বা আলেমকে নিজের শিক্ষকরূপে গ্রহণ করা যেতে পারে।
(৩)
মাজারের দেয়ালে হাত দিয়ে সালাম করা বিদ'আত। আল্লাহর কাছে সরাসরি চাইতে হবে। পীর বা মাজারে শায়িত ব্যক্তির উছিলায় চাওয়া, মিলাদ কিয়াম করা বিদআত না জায়েয। বসে কিংবা শুয়ে দুরুদ পড়া যাবে, বেয়াদবি হবে না।