ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ৪ টায় সাহরী খেয়ে তারপর ৪:৩৮ এর মধ্যেই তাহাজ্জুদ ও বেতের পড়ে নিতে পারলে, নামাজ আদায় হবে।
(২) যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে তারা যদি বেতের নামাজ তাহাজ্জুদের পরে পড়ার জন্য রেখে দেয় কিন্তু শেষ রাতে ওঠে মাসিক শুরু হয়, তাহলে সেই নামাজ পড়তে না পড়ার কারণে গুনাহ হবে না।
(৩) যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ে কিয়ামতের দিন তাদের শরীরে পোশাক থাকবে। এমন কোনো বর্ণনা সম্পর্কে জানা যায়নি,তবে তাহাজ্জুদ নামাযের অনেক সওয়াব রয়েছে।
(৪) ফজরের নামাজের পর নামাজের জায়গা থেকে ওঠে ওযু করলে /অন্য প্রয়োজনীয় কাজ করলে/ অন্য রুম থেকে কোরআন আনলে এরপর আবার নামাজের জায়গায় বসে জিকির আযকার এর পর এশরাক নামাজ পড়লে হজ্জ ও ওমরার সওয়াব হাসিল হবে। এমতাবস্থায় ওযুর জন্য নামাজের জায়গা থেকে উঠলেও ফযিলতে কোনো সমস্যা হবে না।
(৫) নামাজের মধ্যে শুধু মুখ ঢেকে চোখ,নাক ও গাল বের করে রেখে নামাজ পড়াও মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি মশা খুব বেশী পরিমাণে হয়,এবং মশা তাড়ানোর সমস্ত চেষ্টাপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়,তাহলে তখন মুখ ঢেকে নামায পড়া যাবে,মাকরুহ হবে না। দোয়া,সূরা পড়ার সময় মুখে মশা ঢুকে গেলে, রোজা ফাসিদ হবে না।
(৬) দ্বীনের পথে আসার আগে যেই নামাজ ও রোজা কাযা হয়েছে,সেগুলোকে এখন কাযা করতে হবে।
(৭) মাসিক অবস্থায় এ্যপস দেখে কোরআন পড়া যাবে না।
(৮) সূরা ফাতিহার পর অন্য ছোট সূরার পূর্বে যেভাবে বিসমিল্লাহ পড়া হয়,ঠিকতেমনি বড় কোনো সূরার কিছু অংশ পড়া হলে সেক্ষেত্রেও বিসমিল্লাহ পড়া হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1300
(৯) জ্বী, বাহিরের শব্দের কারণে নামাযের মনযোগের ব্যাঘাত ঘটলে,তখন কানে শুধু হেড ফোন লাগিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে।
(১০) তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজ নারীরা পুরুষদের মতই পড়বে। সাধারণ দুই রাকাত নফল যেভাবে পড়া হয়, সেভাবেই পড়া হবে।
(১১) মসজিদের নামাজগুলো আউওয়াল ওয়াক্তেই হয়ে থাকে। সুতরাং মসজিদে জামাতের সাথে বা ঐ সময়েই নামায পড়বেন।
(১২) এশার নামাজ রাতের প্রথম প্রহরে পড়া মুস্তাহাব। বিনা জরুতে দেড়ী করা মাকরুহ।
(১৩) চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে ২য় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পরার পর ভুলবশত দরুদ শরীফের আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মদ অব্ধি পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে। আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা পর্যন্ত পড়ে নিলেই সাহু সেজদা দিতে হবে।
(১৪) শুধু তেলাওয়াত ছেড়ে রাখলে, শ্রবল না করলে গুনাহ হবে।
(১৫)বেতের নামাজে দোয়া কনুতের আগে ভুলবশত ছানা পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে না।
(১৬) দুপুরের যাওয়াল নামাজ চার রাকাত সাধারণ নফলের মতই পড়া হবে।
(১৭) ফজরের আযানে আস-স্বলাতু খইরুম মিনান-নাউম এর উত্তরে সাদাকতা ও বারারতা বলা হবে।
(১৮)আযানের দোয়ার শেষ টুকু (ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ) বলা বিদ'আত হবে না। এটা সিকাহ রাবীগণ থেকে প্রমাণিত কি না? সেটা নিয়ে অবশ্যই মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধমতানুযায়ী বলা বিদ'আত হবে না।