আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

 

(১) বর্তমানে সাহরীর শেষ সময় ৪:৩৮ মিনিট।যেহেতু সাহরীর শেষ সময় এবং তাহাজ্জুদের শেষ সময় একই। কেউ যদি ৪ টায় সাহরী খেয়ে তারপর ৪:৩৮ এর মধ্যেই তাহাজ্জুদ ও বেতের পড়ে তাহলে কি নামাজ আদায় হবে?

 

(২) যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে তারা যদি বেতের নামাজ তাহাজ্জুদের পরে পড়ার জন্য রেখে দেয় কিন্তু শেষ রাতে ওঠে মাসিক শুরু হলে  তখন সে নামাজ পড়তে না পড়ার কারণে কি গুনাহ হবে?

 

(৩)যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ে কিয়ামতের দিন তাদের শরীরে পোশাক থাকবে। এটা কি সঠিক? 

 

(৪)ফজরের নামাজের পর নামাজের জায়গা থেকে ওঠে ওযু করলে /অন্য প্রয়োজনীয় কাজ করলে/ অন্য রুম থেকে কোরআন আনলে এরপর আবার নামাজের জায়গায় বসে জিকির আযকার এর পর এশরাক নামাজ পড়লে হজ্জ ও ওমরার সওয়াব হাসিল হবে কি?  অনেক সময় ওযু ধরে রাখা কষ্টকর হয় সেই অবস্থায় ওযুর জন্য নামাজের জায়গা থেকে ওঠা যাবে?

 

(৫)মশার কারণে নামাজের মধ্যে শুধু মুখ ঢেকে চোখ,নাক ও গাল বের করে রেখে নামাজ পড়া যাবে? মুখ বের করে রাখলে দোয়া,সূরা পড়ার সময় মুখে মশা ঢুকে পড়ে এমতাবস্থায় মশা খেয়ে ফেললে কি রোজা ভেঙে যাবে?

 

(৬)দ্বীনের পথে আসার আগে অনেক নামাজ ও রোজা পড়া হয়নি ।এখন কি সেগুলোর কাযা আদায় করতে হবে?

 

(৭)মাসিক হলে এপস দেখে কোরআন পড়া যাবে?  মুখস্ত যে আয়াত গুলো আছে শুধু সেগুলো পড়া যাবে?

 

(৮)সূরা ফাতিহার পর অন্য ছোট সূরার পূর্বে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করতে হয় কিন্তু বড় কোনো সূরার কিছু অংশ পড়া হলে সেই ক্ষেত্রে সূরা ফাতিহার পর সরাসরি আয়াত তেলাওয়াত করবো না বিসমিল্লাহ বলে যেকোনো আয়াত শুরু করবো?

 

(৯)অনেক সময় আশে পাশে উচ্চ আওয়াজ এ গান বাজায়। এতে নামাজের মধ্যে সমস্যা হয়। ঘরের জানালা লাগালেও উচ্চ শব্দ হয়।এক্ষেত্রে কানে শুধু হেড ফোন দিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে?তাহলে সাউন্ড কিছুটা কম আসে। (ফোনের সাথে হেড ফোন কানেক্ট করা হয় না)

 

(১০)তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজ মেয়েরা কিভাবে, কখন পড়বে?

 

(১১)আওয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়ার ফজিলত কি? কখন আওয়াল ওয়াক্ত শুরু হয়?মসজিদের নামাজের আগেই কি নামাজ পরে ফেলবো ওয়াক্ত হলে?

 

(১২)এশার নামাজ কতটুকু দেরী করে পড়া উত্তম? 

 

(১৩) চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে ২য় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পরার পর ভুলবশত দরুদ শরীফের আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মদ অব্ধি পড়লে কি সাহু সেজদা দিতে হবে? কতটুকু পর্যন্ত পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে ন?

 

(১৪)  ঘরে সূরা বাকারার অডিও ছেড়ে রাখলে জ্বীনের উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া যায় কিন্তু মনোযোগ দিয়ে তেলাওয়াত না শুনলে শুধু তেলাওয়াত ছেড়ে রাখলে কি গুনাহ হবে?

 

(১৫)বেতের নামাজে দোয়া কনুতের আগে ভুলবশত ছানা পড়লে কি সাহু সেজদা দিতে হবে? 

 

(১৬)দুপুরের যাওয়াল নামাজ পড়ার নিয়ম কি?

 

(১৭) ফজরের আযানে আস-স্বলাতু খইরুম মিনান-নাউম এর উত্তরে কি বলবো?

 

(১৮)আযানের দোয়ার শেষ টুকু(ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ)  বলা কি বিদআত?

 

جَزَاكَ ٱللَّٰهُ خَيْرً‎‎

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) ৪ টায় সাহরী খেয়ে তারপর ৪:৩৮ এর মধ্যেই তাহাজ্জুদ ও বেতের পড়ে নিতে পারলে, নামাজ আদায় হবে।

(২) যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে তারা যদি বেতের নামাজ তাহাজ্জুদের পরে পড়ার জন্য রেখে দেয় কিন্তু শেষ রাতে ওঠে মাসিক শুরু হয়, তাহলে সেই নামাজ পড়তে না পড়ার কারণে গুনাহ হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/93994

(৩) যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ে কিয়ামতের দিন তাদের শরীরে পোশাক থাকবে। এমন কোনো বর্ণনা সম্পর্কে জানা যায়নি,তবে তাহাজ্জুদ নামাযের অনেক সওয়াব রয়েছে।

(৪) ফজরের নামাজের পর নামাজের জায়গা থেকে ওঠে ওযু করলে /অন্য প্রয়োজনীয় কাজ করলে/ অন্য রুম থেকে কোরআন আনলে এরপর আবার নামাজের জায়গায় বসে জিকির আযকার এর পর এশরাক নামাজ পড়লে হজ্জ ও ওমরার সওয়াব হাসিল হবে। এমতাবস্থায় ওযুর জন্য নামাজের জায়গা থেকে উঠলেও ফযিলতে কোনো সমস্যা হবে না।

(৫) নামাজের মধ্যে শুধু মুখ ঢেকে চোখ,নাক ও গাল বের করে রেখে নামাজ পড়াও মাকরুহ হিসেবে বিবেচিত হবে। হ্যা, যদি মশা খুব বেশী পরিমাণে হয়,এবং মশা তাড়ানোর সমস্ত চেষ্টাপ্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়,তাহলে তখন মুখ ঢেকে নামায পড়া যাবে,মাকরুহ হবে না।  দোয়া,সূরা পড়ার সময় মুখে মশা ঢুকে গেলে, রোজা ফাসিদ হবে না।

(৬) দ্বীনের পথে আসার আগে যেই নামাজ ও রোজা কাযা হয়েছে,সেগুলোকে এখন কাযা করতে হবে। 

(৭) মাসিক অবস্থায় এ্যপস দেখে কোরআন পড়া যাবে না।

(৮) সূরা ফাতিহার পর অন্য ছোট সূরার পূর্বে যেভাবে বিসমিল্লাহ পড়া হয়,ঠিকতেমনি বড় কোনো সূরার কিছু অংশ পড়া হলে সেক্ষেত্রেও বিসমিল্লাহ পড়া হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1300

(৯) জ্বী, বাহিরের শব্দের কারণে নামাযের মনযোগের ব্যাঘাত ঘটলে,তখন কানে শুধু হেড ফোন লাগিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে।

(১০) তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজ নারীরা পুরুষদের মতই পড়বে। সাধারণ দুই রাকাত নফল যেভাবে পড়া হয়, সেভাবেই পড়া হবে।
 
(১১) মসজিদের নামাজগুলো আউওয়াল ওয়াক্তেই হয়ে থাকে। সুতরাং মসজিদে জামাতের সাথে বা ঐ সময়েই নামায পড়বেন।
 
(১২) এশার নামাজ রাতের প্রথম প্রহরে পড়া মুস্তাহাব। বিনা জরুতে দেড়ী করা মাকরুহ।
 
(১৩) চার রাকাআত বিশিষ্ট নামাজে ২য় বৈঠকে আত্তাহিয়াতু পরার পর ভুলবশত দরুদ শরীফের আল্লাহুম্মা সল্লিয়ালা মুহাম্মদ অব্ধি পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে। আল্লাহুম্মা সাল্লি আ'লা পর্যন্ত পড়ে নিলেই সাহু সেজদা দিতে হবে।
 
(১৪)  শুধু তেলাওয়াত ছেড়ে রাখলে, শ্রবল না করলে গুনাহ হবে।
 
(১৫)বেতের নামাজে দোয়া কনুতের আগে ভুলবশত ছানা পড়লে সাহু সেজদা দিতে হবে না।
 
(১৬) দুপুরের যাওয়াল নামাজ চার রাকাত সাধারণ নফলের মতই পড়া হবে।
 
(১৭) ফজরের আযানে আস-স্বলাতু খইরুম মিনান-নাউম এর উত্তরে সাদাকতা ও বারারতা বলা হবে।
 
(১৮)আযানের দোয়ার শেষ টুকু (ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ)  বলা বিদ'আত হবে না। এটা সিকাহ রাবীগণ থেকে প্রমাণিত কি না? সেটা নিয়ে অবশ্যই মতবিরোধ রয়েছে।তবে বিশুদ্ধমতানুযায়ী বলা বিদ'আত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 45 views
...