আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
1. যদি ১৫ দিনের বেশি থাকার নিয়তে সফর করা হয় তাহলে যাত্রাপথে কসর পড়তে হবে। এখন যদি কোথাও কয়েক ঘন্টার জন্য যাত্রাবিরতি নেয়া হয়  যেটা গন্তব্যস্থল থেকে কসরের দূরত্বে না তাহলে কি সেখানে পুরো নামাজ  পড়তে হবে ?  নাকি যাত্রাপথ বিবেচনা করে কসর পড়তে হবে?

২. রূপার হিসেবে, যার নিসাব পরিমাণ সম্পদ আছে, কিন্তু রেগুলার ইনকাম না থাকায় সন্তানদের খরচ চালাতে ভাই বোনদের সাহায্য নেয়া লাগে, তাকে কি যাকাত দেয়া যাবে?
৩. একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ কত টাকা যাকাত দেয়া যাবে? (যাকাত বাবদ যত টাকা আসে সবটাই যদি নিজের স্ত্রীর ভাইকে দিয়ে দেয়া হয়, সেটা কি জায়েজ?)

৪. নিজের আপন বোনকে যাকাত দেয়া যাবে কিনা?
৫. আমার ভাইকে না জানিয়ে যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রে যদি বলা হয় -"গরু কিনার জন্য দেয়া হয়েছে" সেটা কি জায়েজ? এক্ষেত্রে কি যাকাত আদায় হবে? অথবা যাকাতের টাকা দিয়ে গরু কেনার পরামর্শ দেয়া যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (686,160 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেখানে কসর আদায় করা যাবে।

(০২)
https://ifatwa.info/71830/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন

إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান।আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।(সূরা আত-তাওবাহ-৬০)

কে যাকাত খেতে পারবে?

وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.

অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯) 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যে ব্যাক্তি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক নন,সেই ব্যাক্তি শরীয়তের পরিভাষায় ধনী নয়,সে ফকির।
সুতরাং সেই ব্যাক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি যেহেতু নেসাব পরিমান রুপার মালিক,তাই তাকে যাকাত দেয়া জায়েজ হবেনা।
তাকে যাকাত দিলে যাকাত আদায় হবেনা।
পুনরায় যাকাত আদায় আবশ্যক হবে।

(০৩)
একজন গরিব ব্যক্তিকে যাকাতের টাকা সর্বোচ্চ নেসাব পরিমাণ দেওয়া যায়। এর চেয়ে বেশি দেওয়া মাকরূহ। নেসাব হল সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য যাহা বর্তমান বাজার হিসেবে প্রায় ৮৫-৯০ হাজার টাকার নতো।
(বাদায়েউস সানায়ে ২/১৬০; রদ্দুল মুহতার ৩/৩০৩; হিন্দিয়া ১/১৮৮)

(০৪)
সে যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়,গরিব হয়,সেক্ষেত্রে তাকে যাকাত দেয়া যাবে।

(০৫)
আপনার ভাই যদি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়,গরিব হয়,সেক্ষেত্রে তাকে 
এভাবে যাকাতের টাকা না বলে হাদিয়া হিসেবে দেয়া যাবে।

অথবা যাকাতের টাকা দিয়ে গরু কেনার পরামর্শ দেয়া যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 137 views
...