ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনি বালিগ হওয়ার বৎসর বয়স থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই। আর যে সমস্ত রোযা আপনি রেখে তারপর ভেঙ্গে দিয়েছেন।যেমন আপনি সহবাসের মাধ্যমে একটি ভেঙ্গেছেন।এ রোযার কাফফারা আপনাকে আদায় করতে হবে।
কা'যা রোযা সমূহের কয়টি কাফ্ফারা আদায় করতে হবে? ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি রোযার জন্য কি পৃথক পৃথক কাফ্ফারা আদায় করতে হবে?নাকি সবগুলোর জন্য একটি কাফ্ফারাই যথেষ্ট হবে? এ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2187
(২) রোযা রাখা অবস্থায় মিসওয়াক করার সময় মিসওয়াক এর কিছু অংশ গলায় আটকে গিয়েছিলো। সারাদিনে ঢোক গিলতে গিলতে তো সেই অংশ টুকু পেটে চলে গেছে। এই অংশ যদি ছানা বরাবর হয়, তাহলে রোযা ফাসিদ হবে, নতুবা রোযা ফাসিদ হবে না।
(৩) ফিতরা দিয়ে রোযার কাফফারা হবে না।
(৪) মাসারিফর যাকাতই মাসারিফে ফিতরা।
(৫) ফিতরার টাকা দিয়ে ফিলিস্তিনে গরীব অসহায় ব্যক্তিদের খাবার কিনে দেয়া যাবে।
(৬) একটা ফিতরা সমপরিমাণ টাকা তথা ৯৯ টাকা ৬০ জন মিসকিনকে ৯৯*৬০= ৫৯৪০৳ ৬০ জন মিনকিনকে দিতে হবে, অথবা একজন মিসকিনকে ৬০ দিনে দিতে হবে। তবে রোযা রাখার সামর্থ্য থাকলে, ৬০ টা রোযা ধারাবাহিক রাখতে হবে।রোযা রাখারও সামর্থ্য নেই, মিসকিন খাওয়ানোরও সামর্থ্য নেই, এমতাবস্থায় সামর্থ্যবান হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।এবং পাশাপাশি আল্লাহর কাছে, ক্ষমা চাইতে হবে।
(৭) অক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণ মালের উপর ফিতরা কুরবানি ওয়াজিব।তবে যাকাত ওয়াজিব হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান মাল হওয়া শর্ত।
(৮) একজনকে যতবার ইচ্ছা ফিতরা দেওয়া যাবে।
(৯) ফিতরা একজনকেই দিতে হবে এমন নয়,বরং একাধিকজনকেও ফিতরা দেওয়া যাবে।
(১০) ফিতরা শুধুমাত্র রমজান মাসেই আদায় করা হয়। কেননা ঈদুল ফিতরের দিনই ফিতরা ওয়াজিব হয়।কেউ সাথে সাথে না দিলে পরবর্তীতেও দিতে পারবে।