আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
83 views
in সাওম (Fasting) by (21 points)
১/ হাচি আসার সময় হাচি যাতে না আসে সেই চেষ্টা করতে গেলে কিছু সর্দি নাক দিয়ে বের হয়,যা বের হয় তা ধোয়ার মত পরিমান ছিলনা বলে অলসতা করে ধুয় নি কিন্তু সন্দেহ হচ্ছিল বলে একবার আঙ্গুল দিয়ে ভিতরের ময়লা  টেনে আনছিলাম।আমার মনে সন্দেহ লাগতেসে যতটুক ময়লা নাক থেকে হাচির কারনে প্রথমে বের হয়ছিল তা না ধোয়ার কারনে যদি নিশ্বাসের সাথে আবার ভিতরে ঢুকে(আমি নিশ্চিত না যে যদিও ঢুকে তা গলা পর্যন্ত গেছে কিনা)  এতে রোজা নষ্ট হবে কিনা?
২/ যেহেতু রোজার কথা স্মরন ছিল আর ইচ্ছাকৃত ধুয়নি এতে যদি রোজা নষ্ট হয় তাহলে কি কাফফারা দিতে হবে?

৩/ থুথু ফেলার পর বা মুখ ধুয়া বা কুলির পানি ফেলার পর  ঠোটের বাইরের কিনারায় যদি অল্প পানি জমে থাকে বা ঠোটের সাথে লেগে থাকে, সেগুলা ফেলা বা শুকিয়ে যাবার অপেক্ষা করা কষ্টকর।বারবার থুথু ফেলতে ফেলতে আর ওয়াসওয়াসা  হয়।ঠোট অফ করার সময় বা ঠোট অফ করার পর সেগুলা যদি ভিতরে প্রবেশ করে আর তা ইচ্ছাকৃত গিলে ফেলে তাহলে কি রোজা নষ্ট হয়?
৪/ ফেসবুকে ইউটিউব এ বা কোন জায়গায় রাসুল মোহাম্মাদ(সল্লাল্লহু আ'লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নাম লিখা থাকলে আর তা যদি মনে মনে পড়া হয় তাহলে কি দরুদ পড়তে হবে নাকি  নাম মুখে উচ্চারন করে পড়ার সময় বা নাম শোনলে দরুদ পড়তে হয়?
৫/ আযান এর আগে ও পরে যদি দরুদ পাঠ করতেসে শোনা যায় তখন কি আমাকেও দরুদ পাঠ করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
প্রশ্নের বিবরন মতে এক্ষেত্রে এতে রোজা নষ্ট হবেনা।

(০২)
যেহেতু রোজা নষ্ট হবেনা।
তাই কাফফারা আদায়ের প্রশ্নই উঠেনা। 

(০৩)
ঐ পানি গিলে ফেললে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।
সুতরাং ঠোঁটের বাহিরের পানি টিস্যু দিয়ে বা কোনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলা জরুরি। 

(০৪)
এক্ষেত্রে দরুদ শরীফ পাঠ করা আবশ্যক নয়।

(০৫)
মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ 

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓئِکَتَهٗ یُصَلُّوۡنَ عَلَی النَّبِیِّ ؕ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا صَلُّوۡا عَلَیۡهِ وَ سَلِّمُوۡا تَسۡلِیۡمًا ﴿۵۶﴾

নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দো‘আ করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।

শরীয়তের বিধান হলো মহানবী (সা.)-এর নাম বললে ও শুনলে তাঁর প্রতি দরুদ পড়া ওয়াজিব। তবে বারবার তাঁর নাম বললে ও শুনলে প্রথমবার দরুদ পড়া ওয়াজিব, অন্যান্য বার মুস্তাহাব। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ، حَدَّثَنَا رِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَىَّ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ ثُمَّ انْسَلَخَ قَبْلَ أَنْ يُغْفَرَ لَهُ وَرَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ أَدْرَكَ عِنْدَهُ أَبَوَاهُ الْكِبَرَ فَلَمْ يُدْخِلاَهُ الْجَنَّةَ " . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ وَأَظُنُّهُ قَالَ أَوْ أَحَدُهُمَا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَنَسٍ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَرِبْعِيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ هُوَ أَخُو إِسْمَاعِيلَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَهُوَ ثِقَةٌ وَهُوَ ابْنُ عُلَيَّةَ . وَيُرْوَى عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ إِذَا صَلَّى الرَّجُلُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّةً فِي الْمَجْلِسِ أَجْزَأَ عَنْهُ مَا كَانَ فِي ذَلِكَ الْمَجْلِسِ .

আহামাদ ইবন ইবরাহীম দাওরাকী (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যার কাছে আমার উল্লেখ করা হল অথচ আমার উপর দরুদ পাঠ করল না। ওই ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যার জীবনে রমযান মাস এল কিন্তু তাকে ক্ষমাপ্রাপ্ত না করেই তা অতিবাহিত হয়ে গেল। ওই ব্যক্তির নাক ধূলিমলিন হোক, যে তার পিতামাতাকে (বা তাদের একজনকে) বৃদ্ধাবস্থায় পেল কিন্তু তাদের খেদমত করার মাধ্যমে সে জান্নাতী হতে পারলনা। আবদুর রহমান বলেনঃ আমি মনে করি তিনি বলেছেন তাদের (পিতামাতার) একজনকে পেল। 

এই বিষয়ে জাবির ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাদীসটি হাসান এই সূত্রে গারীব। রিবই ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ইসমাইল ইবন ইবরাহীম ইবন উলাইয়্যা-এর ভাই। ইনি নির্ভরযোগ্য। কোন কোন আলিম থেকে বর্ণিত আছে যে, কোন ব্যক্তি যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মজলিসে একবার দ্রুত পাঠ করে, তবে ঐ বৈঠকের জন্য তা-ই যথেষ্ট।

(তিরমিজি ৩৫৪৫,মিশকাত ৯২৭, তা'লীকুর রাগীব ২/২৮৩)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
না,এক্ষেত্রে আপনাকে দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবেনা।

হ্যাঁ আযানের আগে/পড়ে বা অন্য কোনো সময়ে আপনি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নাম শুনলে দরুদ শরীফ পাঠ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...