জবাবঃ-
স্থানীয় মুসল্লী জামাত না পেলে আলাদা জামাত করে নামাজ পড়তে পারবে না।বরং একা একা নামায পড়তে হবে।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
وَيُكْرَهُ تَكْرَارُ الْجَمَاعَةِ بِأَذَانٍ وَإِقَامَةٍ فِي مَسْجِدِ مَحَلَّةٍ لَا فِي مَسْجِدِ طَرِيقٍ أَوْ مَسْجِدٍ لَا إمَامَ لَهُ وَلَا مُؤَذِّنَ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب الامامة-2/288
أَنَّهُ – عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ – كَانَ خَرَجَ لِيُصْلِحَ بَيْنَ قَوْمٍ فَعَادَ إلَى الْمَسْجِدِ وَقَدْ صَلَّى أَهْلُ الْمَسْجِدِ فَرَجَعَ إلَى مَنْزِلِهِ فَجَمَعَ أَهْلَهُ وَصَلَّى» وَلَوْ جَازَ ذَلِكَ لَمَا اخْتَارَ الصَّلَاةَ فِي بَيْتِهِ عَلَى الْجَمَاعَةِ فِي الْمَسْجِدِ وَلِأَنَّ فِي الْإِطْلَاقِ هَكَذَا تَقْلِيلُ الْجَمَاعَةِ مَعْنًى، فَإِنَّهُمْ لَا يَجْتَمِعُونَ إذَا عَلِمُوا أَنَّهُمْ لَا تَفُوتُهُمْ.
وَأَمَّا مَسْجِدُ الشَّارِعِ فَالنَّاسُ فِيهِ سَوَاءٌ لَا اخْتِصَاصَ لَهُ بِفَرِيقٍ دُونَ فَرِيقٍ اهـ (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب الامامة-2/288
যার সারমর্ম হলো মহল্লার মসজিদে ২য় জামাত করা মাকরুহ।
সুতরাং আপনার জন্য উত্তম হলো মসজিদে একাকি নামাজ পড়া।মসজিদ বা অন্যত্রে জামাত করা মাকরুহ।
আদ্দুররুল মুখতার (২/২৮৯) গ্রন্থে আছেঃঃ
ويكره تكرار الجماعة..... فى المسجد أو غيره
যার অর্থ হলো মসজিদ বা অন্যত্রে ২য় জামাত মাকরুহ।
(২)
পাজামার সামান্য সেলাই খুলে গেছে।তবে উপর থেকে পাঞ্জাবি থাকায় সতর প্রকাশিত হচ্ছে না। এমতাবস্থায় যেহেতু সতর প্রকাশ হচ্ছে না,তাই নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
(৩)
জীবিত বা মৃত যেকোনো মাছ খাওয়ার ব্যাপারে শরী‘আত অনুমতি দিয়েছে।
পদ্ধতিগতভাবে কেউ তাজা মাছ রান্না করে খায়, কেউ শুটকি বানিয়ে খায় তাতে কোনো বাধা নেই।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সমুদ্রের শিকার তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে’। সুরা মায়েদা ৯৬
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং এর মৃত হালাল। আবু দাউদ হা/৮৩; তিরমিযী হা/৬৯
একইভাবে হিদল/শিদল বা চ্যাপা শুটকি মূলত পুটি, টাকি, টেংরা ইত্যাদি মাছ থেকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় তৈরি একধরনের দেশি খাবার। সুতরাং তা ভক্ষণে কোনো বাধা নেই।
হাদিসে এসেছে, হজরত আবু উবাইদাহ ইবনে জাররাহ (রা.)-এর নেতৃত্বে উপকূলবর্তী অঞ্চলে এক দল সাহাবি প্রেরিত হন। প্রেরিত সাহাবি দল খাদ্য-রসদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর নদীর তীরে একটি বৃহদাকার মাছ দেখতে পায়। মাছটি দেখতে উঁচু টিলার মতো ছিল। মাছটির পাঁজরের দুই হাড়ের মধ্য দিয়ে সওয়ারিসহ একটি উট অবলীলায় চলে গিয়েছিল। মাছটির চোখের কোটরে ১৩ জন লোক বসেছিল। ৩০০ জন সাহাবি একাধারে ১৮ দিন পর্যন্ত সেই মাছটি আহার করে কিছু অংশ মদিনায় নিয়ে এসে রাসুল (সা.)-কে হাদিয়া দেন। রাসুল (সা.) তা আহার করেন। মাছটির নাম ছিল আম্বর। এ হাদিসটি শুঁটকি বৈধ হওয়ার অন্যতম দলিল।
_(মাআরেফুল কোরআন)(সংগৃহিত)